জেল হত্যা দিবসে চাঁদপুরে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহম্মেদ তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় ৪ নেতাসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা সকল সময় স্মরণ করবো। তাদের আদর্শকে লালন করে আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবো। অসাম্প্রদায়িক ভাবে সকলে এক সাথে বসবাস করবে সেই উদ্দশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু আজ আবারও সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচারা দিয়ে ওঠেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম এর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়াজী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, তথ্য ও গভেষনা সম্পাদক অ্যাড. বিণয় ভূষন মজুমদার, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির দেওয়ান মন্টু, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর ররহমান ভূইয়া কালু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোরশেদ জুয়েল, জেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান। আলোচনাসভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল আমিন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি জাফর আহম্মদ।
জেলা আওয়ামীলীগের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকাল ৮ টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুর সাক্ষী হচ্ছে ৩ রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।
দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে সেই চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট