রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ মাঝেমধ্যে চোখ খুলে তাকাচ্ছেন, তবে কথা বলতে পারছেন না। সংসদের বিরোধীদলীয় এই নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অনেকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রওশন এরশাদকে দেখতে হাসপাতালে যান ‘নিউ জাপা’র মহাসচিব ও এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের অবস্থা ভালো নয়। তিনি কথা বলতে পারছেন না। বোঝা যাচ্ছে, খুব কষ্ট পাচ্ছেন। তবে আমাদের কথা তিনি শুনছেন।
রওশন এরশাদকে বিদেশে নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, বিদেশে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। ওনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পর সেচুরেশন ৯৬ তে আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক যে অবস্থা তাতে বিদেশে নেওয়া সম্ভব নয়। শারীরিক অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ জাপার কো-চেয়ারম্যান বিদিশা সিদ্দিক, এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিক এরশাদ।
জাপা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। পরে তার অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালেই গত ২০ অক্টোবর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন এই রাজনীতিবিদ।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ রংপুর-৩ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে ২৩ মে টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ আগস্ট থেকে টানা ৭০ দিনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।