চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দের গাঁও (বসির দিঘীর পাড়) এলাকায় ভাতিজাদের হাতে চাচা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বিবাদীগন মো.আনোয়ার উল্যার বাস গৃহে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাচা আনোয়ার উল্যাকে ভাতিজা সাদ্দাম (২৫) দা দিয়ে মাথায় হাতে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া সাবল দিয়ে আাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে।
এক পর্যায়ে গলা চেঁপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চাইলে তার এবং পরিবারের লোকজনের আত্নচিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুঁটে আসে, আহত আনোয়ার উল্যাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
মামলার বাদী আহত আনোয়ার উল্যার মেয়ে জেসমিন বেগম (৩৫) জানান, ‘আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদ্দাম, কাসেম, রফিক ও তার স্ত্রী গোলবাহার বেগম গংরা হামলা চালায়। তাছাড়া আমার বাবা ওদেরকে বললেন, স্থানীয় শালিসদের সিদ্ধান্ত যদি না মান তাহলে আইনগত ভাবে থানায় বসে সমাধান করতে হবে।
এ কথা বলার পর সাদ্দাম ওসিকে বেশ কিছু আপত্তিকর কথা বললে, আমার বাবা প্রতিবাদ করতে চাইলে বাবাকে সাদ্দাম ও কাসেম তাদের মা বাবার উপস্থিতিতে দা এবং সাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে আমাদের বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় কেউ সাহস করে বারণ করাতে পারেনি। এক পর্যায় বাবাকে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করলে আমরা ডাক চিৎকার করলে ছেড়ে দেয়। অত:পর বাবাকে তারা লাঠি সোঠা নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।’
এদিকে সাদ্দাম ও কাসেমের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমার চাচা স্লাবের উপর পড়ে ব্যাথা পেয়েছে। আমরা তাকে মারিনি।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত তদন্ত কাজ শেষ করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
এদিকে তথ্যসূত্রে জানাযায়, কাসেম সম্প্রতি বিদেশ চলে যাওয়ার কথা, তাই এ দুবৃর্ত্ত আইনের লোকজনকে ফাঁকি দিয়ে যে কোন সময় বিদেশ চলে যেতে পারে বলে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
হামলার বিষয়ে আনোয়ার উল্যাহ জানান, আমি ওদেরকে বলেছি, স্থানীয় শালিসী সিদ্ধান্ত না মানলে থানায় আইনগত ভাবে বসে সমাধান করতে হবে। এ কথা বলার পর পর থানার ওসিকে আপত্তিকর উক্তি করেছে কাসেম। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার উপর সাদ্দামও কাসেম তাদের মা বাবার সম্মুখে আমাকে দাও ও সাবল দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে। তাছাড়া আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গলা চেঁপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমি এ দুবৃর্ত্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদ হোসেন বলেন, আনোয়ার উল্যাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্য জখম করার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ২৮ অক্টোবর ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur