চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) একটি মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিচারক আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস কারাভোগের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মাহমুদুর রহমানকে জেলহাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
সাজা পরোয়ায়ানা দিয়ে তাকে জেলহাজতে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিতে শুরু করেন।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
চার্জ গঠনের সময় তিনি আদালতে সরকার ও বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ৫ পৃষ্ঠার লিখিত খোলা চিঠি দাখিল করেন। ওই চিঠিতে তিনি সরকার ও বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে চরম বিষোদগার করেন।
ওই বছরের ১৫ জুন মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চার্জশিট হওয়ার পর মাহমুদুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে মামলাটি বাতিলের জন্য আবেদন করলে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করেন।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর হাইকোর্টের আদেশে বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চাদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এ জ্বালানি উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৬২টিরও বেশি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি মামলা মানহানির।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কথিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহসহ নানা অভিযোগে ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই তাকে তিনটি মামলায় ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য ২০১০ সালের ১৩ মার্চ মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেয় দুদক। হিসাব দাখিল না করায় ওই বছরেরই ১৩ জুন গুলশান থানায় এই মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক নুর হোসেন।