সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারিতে যেন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বন্ঞিত না হয় সে ব্যপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছেন। যার ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে কোন সমালোচনা হয়নি।
১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে তিনি একথাগুলো বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, এ করোনাকালীন সময়ে বেকার ও কর্মহীন মানুষের পাশেও দাঁড়িয়ে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন উদ্বোধন শেষে সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, এই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্যই এটি স্থাপন করা হয়েছে। সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা অনুদান হিসেবে যে অর্থ দিয়েছিল তাই দিয়ে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, এটি স্থাপনে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
এমপি আরো বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপেক্সটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা রূপান্তর করার জন্য চেষ্টা চলছে, সেই সাথে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধারের আমরা কাজ করছি। এতে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক, পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কায়সার আহমেদ হিমেল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজীব কিশোর বনিক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগম রুনু, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান রেজাউল করিম, এম এ আজিজ বাবুল, মোফাজ্জল হোসেনসহ হাসপাতালে ডাক্তার, দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে ২০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের ফলে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে। আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মবিন প্রধানের পক্ষে ৫০ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন ওনার ছোট ভাই শাহীদ খালেদ শামসু। এছাড়া সমাজের যে সকল স্বনামধন্য ব্যক্তি এটি নির্মাণে অনুদান প্রদান করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গোলাম কাওসার হিমেল।
প্রতিবেদকঃ মাহফুজ মল্লিক