দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.মো.এনামুর রহমান বলেছেন,বজ্রপাতের মত দুর্যোগে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে।
আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বজ্রপাত’ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) এটিএম আব্দুল ওয়াহহাব।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি,ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ,বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ সেমিনারে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এনামুর রহমান আরো বলেন, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের আটটি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। এ’টি সফল হলে জনসমাগম হয় এমন আরও বেশিসংখ্যক স্থানে লাইটনিং এরেস্টার বা বজ্র নিরোধক দ্রুত স্থাপন করা হবে।
তাছাড়া সরকার বজ্রপাতে যেখানে মৃত্যুর হার বেশি সেসব অঞ্চলে বজ্রপাত আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,` বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনদিন বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দু ’হাজারের বেশি। তাই ভবিষ্যতে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন,`বজ্রপাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে আমাদের কিছু উপায় বের করতে হবে। যেমন, প্রথমেই বজ্রপাতের পূর্বাভাসেরর উন্নতি সাধন করতে হবে। বজ্রপাতের অন্তত ২০ মিনিট পূর্বে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানতে পারবে কোন কোন এলাকায় বজ্রপাত হবে। তা সবাইকে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইল ফোনে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
বার্তা কক্ষ , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur