জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় ভার্চুয়াল সভা

বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) এর একটানা ৪ ঘন্টাব্যাপি কেন্দ্রিয় ১০১ জন নেতৃবৃন্দের উপস্থীতিতে সোমবার ১২ জুলাই ৩ টায় সংগঠনের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনি ভার্চুয়াল মতবিনিময় হয় ।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দ শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া,উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা প্রদান ও শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানান। একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বদলি প্রথা চালু করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া নেতৃবৃন্দ জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত,সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি ও মাদরাসার প্রশাসনিক পদে জেনারেল শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানান।

বিএমজিটিএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদার বলেন,‘বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভূক্ত করে ৫% ইনক্রিমেন্ট,২০% বৈশাখী ভাতা,প্রায় ছয় শতাধিক স্কুল/কলেজ জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২,৭৩০টি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছেন।

এছাড়া করোনা দূর্যোগে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে বিশেষ অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া তিনি আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় শতভাগ উৎসব ভাতা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২০০৪ সালে শিক্ষকদেরকে ২৫% ও কর্মচারীদেরকে ৫০% উৎসব ভাতা দেয়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর ১৭ বছর পার হলেও খন্ডিত উৎসব ভাতার পরিবর্তন হয়নি।

এটি শিক্ষক সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক ঘটনা। অনতিবিলম্বে শিক্ষক- কর্মচারীদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার জোর দাবী জানাই।’

এছাড়া তিনি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এবং শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক দাবী পূরনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরিশেষে তিনি বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান।

আলোচনা শেষে সভাপতি করোনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং করোনা আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। রাজশাহীর আহত কলেজ শিক্ষকের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও সমবেদনা জানানো হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি উপাধ্যক্ষ মুহা.জোহরুল ইসলাম।

সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.ফজলুল বারী বেলাল, ড.মো.মোখলেছুর রহমান, মো.শহিদুল ইসলাম,সহ-সভাপতি ড.মু.জাকির হোসেন, মো.আমির উদ্দিন,মো.হোসনি মোবারক, হুমায়ুন তালুকদার।

এ ছাড়াও আরেও সম্পৃক্ত ছিলেন-সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো.ওয়ালিদ হোসেন,কোষাধ্যক্ষ জনাব খোরশেদ কবির মাসুদ,আইন সম্পাদক শাহজালাল স্যার,যুগ্ম মহাসচিব মো.আতাউর রহমান,মো.মোস্তাফিজুর রহমান,মাসুদা সুলতানা,মো.গোলাম মোস্তফা,সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শফিউল আজম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আমজাদ হোসেন,মো.রেজাউল করিম,মো.আল-আমিন সরকার,নুরুল আমিন শিশির,অর্থ-সম্পাদক খোরশেদ কবির মাসুদ,দপ্তর সম্পাদক আরিফ ইমাম,আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো.নেকবর হোসেন,প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মন্ডল,গণ সংযোগ সম্পাদক মো.আব্দুল জলিল, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো.আব্দুল মালেক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মোস্তাক আহমেদ, মো.আব্দুর রাজ্জাক,নাহিদা পারভিন,বাবু রজত কান্তি দাস,মাসুদ রানা,জাকির হোসেন,ক্রীড়া সম্পাদক মো.মজিবুর রহমান,আব্দুস সালামসহ ১০১ জন কেন্দ্রিয় সম্মআনিত কার্যনির্বাহী সদস্য।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি , ১৪ জুলাই ২০২১