Thursday, July 30, 2015 02:48:21 AM
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পল্লীতে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন সবুর মিয়া (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা। পরে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শালিখা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সবুর মিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শালিখা দক্ষিণপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
ঘটনার শিকার গৃহবধূর নাম কামরুন নাহার (৩২) শালিখা দক্ষিণপাড়ার মৃত হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী হারুনের মৃত্যুর পর থেকে সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন গৃহবধূ কামরুন নাহার। এ সুযোগে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চালায় যুবলীগ নেতা সবুর। কিন্তু কামরুন নাহার তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ঘরে জোর করে ঢোকেন ওই নেতা। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এসময় কামরুন নাহারের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সেখানে ছুটে এসে হাতে নাতে ধরে ফেলেন সবুরকে। এরপর গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে গ্রামবাসী। পরে ওই নেতার মামা বেলাল হোসেনের কাছে বিচার দেয়া হয়।
বেলাল হোসেন সঠিক বিচার করতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাফী এবং নারী মেম্বার তারা বেগমের উপস্থিতিতে গ্রাম্য শালিস অনুষ্ঠিত হয়।
বিচার প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য আব্দুল কাফি জানান, ‘শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুরে যুবলীগ নেতা সবুর ও কামরুন নাহারের বিয়ে পড়ানো হয়েছে।’
তবে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত হতে যাওয়া নেতার সঙ্গে ঘটনার শিকার গৃহবধূর বিয়ে পড়ানোর ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন, বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের বৈধ অনুমতিই দেয়া হয়েছে মাত্র। আগামীতে সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে নিয়ে ওই নেতা আদৌ মন থেকে সংসার করতে চাইবে কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
চাঁদপুর টাইমস : ডিএইচ/২০১৫।
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।