জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ রোহিঙ্গাকে এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট পেতে সহায়তার অভিযোগে কুমিল্লার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ পরিদর্শকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িও কুমিল্লায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এ তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। মামলায় অবৈধভাবে এনআইডি কার্ড পাওয়া ১৩ রোহিঙ্গাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কক্সবাজারের সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে অবস্থানরত ১৩ রোহিঙ্গাকে জালিয়াতির মাধ্যমে এনআইডি কার্ড পেতে সহযোগিতা করেন সেসময়ের কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন। এই বিষয়ে অভিযোগ উঠার পর তদন্ত প্রতিবেদনেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
বর্তমানে মোজাম্মেল হোসেন কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত আছে। জালয়াতি করা এসব এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট নেন রোহিঙ্গারা। আর এই কাজে তাদের সাথে যুক্ত ছিল তৎকালিন কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান, রুহুল আমিন এবং প্রভাষ চন্দ্র ধর।
এদের মধ্যে রুহুল আমিনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাইকোঠা গ্রামে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই এসব জালিয়াতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করে দুদক। অথচ এসব পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বই ছিল এদের যাচাই করা। তাই এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ এর ২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৩ রোহিঙ্গাকেও আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল তালুকদার বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কুমিল্লায় কর্মরত আছেন। তবে অভিযোগগুলো অনেক আগে বিভিন্ন সময়ে ঘটানো। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
কুমিল্লা প্রতিনিধি,১৭ জুন ২০২১