শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কেশরাঙ্গা-রাগৈ মৌলভীবাজার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও জনসাধারণের চলাচলের জন্যে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রাখায় এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েছে।
রাগৈ, লোটরা এলাকাসহ উপজেলা সদরের জনসাধারণ ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ এ সড়ক দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যেতে হয়।
কালীবাড়ি-লোটরা পানিওয়ালা সড়কের রাগৈ মৌলভীবাজার এলাকায় এ সড়ক অবস্থিত। বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই এখানে একটি পাকা ব্রিজ থাকায় জনসাধারণ সেটি দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ায় তা ভেঙে নতুন ব্রিজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে ৬০ ফুট লম্বা এ ব্রিজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা। গত ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কাজের তদারকি কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম জানান, উক্ত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মদিনা এন্টারপ্রাইজ। ব্রিজের দুপাশে সরকারি জায়গা দখল করে রাখার কারণে আমরা বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করতে পারিনি।
এ বিষয়ে উচ্ছেদের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, জনগণের চলাচলের জন্যে বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়েছে। কিন্ত জাগয়া না থাকায় বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা যায়নি। তিনি আরও জানান, বাঁশের সাঁকোটিকে আরও মজবুত করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাকে জানিয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান জানান, উক্ত প্রকল্পে বিকল্প সড়কের বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ প্রকল্পে বিকল্প সড়কের বরাদ্দ রাখা উচিত ছিলো। আগামি দুদিনের মধ্যে জনসাধারণ চলাচলের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদকঃ মো. জামাল হোসেন