চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার শিকারীকান্দি গ্রামের মরহুম হাফেজ আলী সরকারের একটি চৌচালা কাচারি ঘরটিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় মরহুম হাফেজ আলী সরকারের নাতি ও মৃত শুকুর আলী সরকারের ছেলে ডা.আস্বাদ উল্লাহর কাচারি (বাংলা) ঘরটিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
ঘরটিতে আগুন দেখতে পেয়ে মসজিদে মাইকিং করলে স্থানীয় জনগন এসে রাত ১ টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এতে আসবাপত্রসহ তার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কর্তৃক জানা যায়।
সরেজমিনে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,মতলব উত্তর উপজেলার শিকারীকান্দি গ্রামের মরহুম হাফেজ আলী সরকারের নাতি ও মৃত শুকুর আলী সরকারের ছেলে মোঃ আস্বাদ উল্লাহ সরকার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত থেকে অবসর গ্রহন করেন।
তিনি ঢাকায় থাকেন বেশিরভাগ সময়। বাড়িতে তার কেউ থাকেন না। তার পাশ্ববর্তি মৃত আব্দুল জলিল (আমিন) এর ছেলে মনির হোসেন গত কয়েক দিন আগে মৃত শুকুর আলী সরকারের ছেলে মোঃ আস্বাদ উল্লাহ সরকারের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলা করার পর গত দু’দিন ধরে তিনি আস্বাদ উল্লাহ সরকারের ঘরবাড়ি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানান আস্বাদ উল্লাহ ও বাড়ির আঃ মান্নান (৬৫), জুলহাশ (৪৮) ও মনোয়ারা বেগম (৭০)সহ কয়েকজন জানান।
আস্বাদ উল্লাহ আরোও জানান এ হুমকি দেওয়ার একদিন পরেই আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য কাচারি ঘরে আগুন। এতে তার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। যে ঘরটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটিতে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত আসাদ উল্লাহ এসময় কুমিল্লা চিকিৎসাধীন।
আস্বাদ উল্লাহ সরকার জানান আমি গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থ। আমি কুমল্লা ও ঢাকায় চিকিৎসার জন্য রয়েছি। তার পাশ্ববর্তি মৃত আব্দুল জলিল (আমিন) এর ছেলে মনির হোসেন আমার নামে গত কয়েক দিন আগে মতলব উত্তর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর সে আমার ঘরবাড়ি জালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য বাংলা (কাচারি ঘরটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা যে মনির হোসেন সরকারই ঘটিয়েছে এটা বুঝার বাকি থাকে না। তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। যে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়েছে সেটির ক্ষয়-ক্ষতি আসবাপত্রসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বলে জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক