বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো দিবসটি বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইট ও অন্য সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব রেডক্রস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হেনরি ডুনান্ট। ১৮৫৯ সালে উত্তর ইতালির সলফেরিনো অঞ্চলে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ইতিহাসের নৃশংসতম যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এর ধারাবাহিকতায় মানবকল্যাণ আর সেবার ব্রত নিয়ে ১৮৮৩ সালে তিনি রেডক্রসের গোড়াপত্তন করেন। একই সঙ্গে তিনি সংস্থাটির সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৮২৮ সালের ৮ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে এ মানবতাবাদী মারা যান। এরপর থেকে তার জন্মদিনকে সম্মান জানাতে বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মানবতা,পক্ষপাতহীনতা,স্বাধীনতা,স্বেচ্ছামূলক সেবা,একতা, নিরপেক্ষতা এবং সার্বজনীনতা এমন সাতটি মূল মন্ত্রকে ধারণ করে সেবাধর্মী কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান রেডক্রস সোসাইটি নামে প্রতিষ্ঠনটি এ দেশে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেডেক্রস সোসাইটি নামে পরিচিত হয় সংস্থাটি। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নামকরণ করা হয়।
দেশের সব প্রাকৃতিক দূর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য সংস্থাটির অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের সাভারে অবস্থিত রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধারেও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।
বার্তা কক্ষ , ৮ মে ২০৯২১
এজি
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur