হাজীগঞ্জ থানা এরিয়ার সামনে সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্রকরে অর্তকিত হামলায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত মো. মিন্টু হোসেন (৪৩)। এ সময় থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোসঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিশ্চিতি নিয়ন্ত্রে আনেন বলে জানা যায়।
শনিবার দুপুরে পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের সর্দার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, অভিযোগের বাদী মৃত জামাল সর্দারের ছেলে মো. মিন্টু হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন (৩৫), মৃত জামাল সর্দারের স্ত্রী রানু বেগম (৭০), মো. মিন্টুর স্ত্রী রীনা বেগম (২৬) ও মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিয়াদ (১৭)।
অভিযোগের বিবাদীরা হলেন, একই বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আ. হান্নান মোল্লা (৫৬), আ. হান্নান মোল্লার ছেলে পেয়ার আহাম্মদ (৩০), মো. শান্ত (২৫), মো. রাব্বি (২৭), মো, সাগর (২৩) ও আ. হান্নান মোল্লার স্ত্রী ছালেহা বেগম (৪৭)। এছাড়াও হান্নান মোল্লার ছেলে কালুও (২০) হামলা করে বলে জানান অভিযোদের বাদী।
জানা গেছে, ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজার সিএস/এস.এ ৮২৯নং দাগে ১ আনা পুকুর ২০ শতাংশের অন্দরে বিএস ১৪০৪ দাগে পুকুরের মালিক (দাতা) হাজী আবদুর রশিদ সর্দারের কাছ থেকে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ একই বাড়ির মো. মিন্টু হোসেন ২শতাংশ ভূমি (পুকুর) ক্রয় করেন। দলিল নং- ২২৪১। যার খারিজ খতিয়ান (নং- ৫৬৬৮) করা আছে।
অভিযোগের বাদী মিন্টু জানান, ক্রয় ও দখল সূত্রে ওই ভূমির মালিক হয়ে তিনি ঘটনার দিন দুপুরে পুকুরের একটি অংশ ভরাটের লক্ষে শ্রমিকদের দিয়ে প্যালাসেটিংয়ের কাজ শুরু করেন। ওই সময় অভিযোগের বিবাদী ও একই বাড়ির আ. হান্নান মোল্লা, তার স্ত্রী ও ছেলেদের নিয়ে শ্রমিকদের কাজে বাধা দেন।
খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার উপর অর্তকিত হামলা করেন আ. হান্নান ও তার ছেলেরা।
পরে তাকে (মিন্টু) মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে আসলে মিন্টুর মা, ভাই ও স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারধর ও মহিলাদের শ্লীতাহানী করেন। এসময় তার ২৭ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিন্টু।
এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।
এ বিষয়ে আ. হান্নান মোল্লা বলেন, মিন্টু যার কাছ থেকে জায়গা (ভূমি) ক্রয় করেছে, তার (হাজী আব্দুর রশিদ) নামে আমার শাশুড়ি মনোয়ারা বেগমের সম্পত্তি ভুলবশত বি.এস হয়ে গেছে। সেই সম্পত্তি মিন্টু ক্রয় করেছে। আমরা মিন্টুকে বলেছি, বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে যেন কোন কাজ না করে। কিন্তু মিন্টু আমাদের না জানিয়ে সেখানে কাজ শুরু করে, তাই আমরা বাধা দিয়েছি।
মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে মারামারি হয়নি। তবে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে আমাদের মাঝে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। তখন কে, বা কারা ইট-পাটকেল ও লাঠি-সোটা ছুড়ে মারে। এতে করে তারা ও আমরা আহত হই।
এক প্রশ্নের জবাবে আ. হান্নান মোল্লা বলেন, যেহেতু বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে, নিজেরাই সমাধান করবো। তাই বিএস সংশোধনী মামলা করিনি।
হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি,২৪ এপ্রিল ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur