চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত দুর্গমচর রাজরাজেশ্বরে নিষিদ্ধ মৌসুমে পাইকারি হারে জাটকা বিক্রয় হচ্ছে এমন অভিযোগে বেশ কয়েকটি আড়ত উচ্ছেদ করেছে নৌ-পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ১৪ জেলেকেও আটক করা হয়।
এ ছাড়া মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত পাঁচটি নৌকা ও বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়েছে। ২৮ মার্চ রোববার দুপুরে চাঁদপুর নৌ থানা এবং হরিণাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ি যৌথভাবে জেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরের দুর্গম এই চরে অভিযান পরিচালনা করে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকায় যেসব জাটকা বিক্রি হয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে তার প্রায় চালানগুলো মূলত এই রাজরাজেশ্বর থেকে যায়। তাই জাটকা নিধন ও তার চালান বন্ধ করতে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এখানে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযানের আগে চরের জেলেদের জাটকা নিধন না করতে সচেতনামূলক সভা করা হয়েছে। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, হরিণাঘাট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম নাসিম প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে বেশ কয়েকটি জাটকার চালান ধরা পড়েছে। এর সঙ্গে জড়িতরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে স্বীকার করেছে, এসব জাটকার চালান চাঁদপুর থেকেই সেখানে যাচ্ছে। শুধু রাজরাজেশ্বর-ই নয়, বহরিয়া, মোহনপুর এবং হাইমচরের বেশকিছু এলাকায় সুযোগ বুঝে একশ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন করছে।
আর সেই সব জাটকা পদ্মা ও মেঘনাপাড়ের দুর্গমচরে আড়তে বেচাকেনা চলে। পরে নৌ ও সড়ক পথে তার চালান পৌঁছে যায় রাজধানী ঢাকায়।
এদিকে, গত এক মার্চ থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত এই ২৮ দিনে চাঁদপুরে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন জাটকা, দুই শতাধিক মাছ ধরার নৌকা এবং প্রায় ৫০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাটকা নিধনের দায়ে ১৭০ জন জেলেকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর প্রতিনিধি,২৯ মার্চ ২০২১