চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের কয়েক গজ জায়গা যেনো মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের কয়েক গজ দুরে, দুরে বিভিন্নস্থানে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর শহরে প্রবেশে ভারী যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে বঙ্গবন্ধু সড়কটি। এতে বিশাল বিশাল গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই চলছে ছোট বড় যানবাহন। প্রায়ই দুঘর্টনার সম্মুখীন হচ্ছে ছোট বড় যানবাহন গুলো। গত ৯/১০ মাস পূর্বে সড়কটির পুনঃ সংস্কার কাজ করালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্ন মানের কাজ করানোর কারনে এবং বৃষ্টির পানিতে ৬ মাস না পেরুতেই সংড়কটি ধীরে ধীরে পূর্বের চেহেরায় রূপ নেয়।
বঙ্গবন্ধু সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ট্রাক, বাস, কর্ভাট ভ্যান, তেলের লড়ি, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। তবে এসব যানবাহনের মধ্যে মালবাহী ট্রাক, কর্ভাট ভ্যান, তেলের লড়ি এবং পিকআপ ভ্যান বেশি চলাচল করে থাকে। যার ফলে প্রতি বছর খুব অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হতে দেখা যায়।
চাঁদপুর শহরে প্রবেশের সময় অন্যান্য সড়ক গুলোতে যানজট কমিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ক’বছর পূর্বে মিশন রোড হতে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ সড়কের সাথে সংযুক্ত করে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখন প্রতিনিয়ত এ সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। যার ফলে সড়কটির এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে মিশন রোডের পূর্ব দিকে এবং দর্জি ঘাটের পশ্চিম পাশে এই দুই এলাকার মধ্যবর্তীস্থানে মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্নস্থান সহ বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পড়ে আছে।সড়কের এই স্থান দিয়ে যখন ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তখন অনেক ঝুঁকি নিয়ে চালকদের গাড়ি চালাতে হয়।
আবার কখনো কখনো ওই গর্তের স্থান দিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালানোর সময় ভয়াবহ যানজটও সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এমনকি এসব গর্তের কারণে অনেক সময় অনেক যানবাহন এবং অটোরিক্সা উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে দেখা গেছে। গত দুই তিন মাস পূর্বে সড়কের এই স্থানগুলোতে এমন পরিণতি দেখে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সেখানে ইটের সুরকি ফেলে কিছুটা দুর্ভোগ কমালেও কয়েক দিন যেতেই তা আবারো আগের রূপে ফিরে যায়।
সড়কটি রক্ষার্থে এবং যান চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দর্জি ঘাট থেকে মিশন রোড পর্যন্ত এই অংশটুকু আমরা খুব সহসাই পুনঃ নির্মাণ কাজ ধরবো। কাজ হয়ে গেলে তখন আর এই দুর্ভোগ থাকবে না।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৫ মার্চ ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur