চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের বাঁশগাড়ি এলাকায় শখেরবসত প্রবাসী আবুল কালাম ও সিরাজুল ইসলাম নামের দুই বন্ধুর অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে খামার। নদীরপাড়ে নিজস্ব ২৫ শতাংশ জমির উপর করোনাকালিন সময়ে হাঁস-মুরগী, কবুতর ও ছাগল পালনের জন্য খামারটি তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে খামারটি করতে প্রায় ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম আকাশ।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহর থেকে ট্রলার বা স্প্রিডবোট দিয়ে পদ্মা-মেঘনা, ডাকাতিয়ার ত্রিনদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের বাঁশগাড়ি এলাকার বন্দুকশি বাজারে অবস্থিত দুই বন্ধু সম্মিলিত খামারে।
খামারটির চারদিক জাল, বেড়া ও টিনসেড দিয়ে ঘেরাও করা। সকাল ৮টায় হাঁসগুলোকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বেই হাঁসগুলো খামারে চলে আসে। শুরু করার সময় খামারটিতে ২৫০০ হাঁস থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৫০০ হাঁস। এছাড়া বর্তমানে কবুতর রয়েছে ২০ জোড়া, দেশীয় মুরগী রয়েছে ৪০টি ও ছাগল রয়েছে ৪৮ টি। খামারটি দেখাশোনার জন্য রয়েছে ২জন শ্রমিক। তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।

খামারের কর্মচারী আবুল কালাম ও সিরাজুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, খামারে ৫০০ হাঁসের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ২০০ হাঁসের ডিম পাওয়া যায়। আর ৪০ টি মুরগীর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ১৫ টা ডিম পাওয়া যায়। খামারে হাঁসের ডিম হালি প্রতি ৪০ টাকা ও দেশী মুরগী হালি প্রতি ৫০ টাকায় বিক্রয় হয়। ডিম নেওয়ার জন্য আশপাশের লোকজন প্রতিদিন খামারে আসেন। আমাদেরকে মাসিক ১২ হাজার টাকা করে বেতন প্রদান করেন খামার মালিক।
উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম আকাশ চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, আমি ও আমার বন্ধু বোরহান দেওয়ান মিলে সম্মিলিত দুই বন্ধু খামারটি গত বছর গড়ে তুলি। আমরা দুইজনই সৌদি আরবে থাকি। বোরহান দেওয়ান বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে। এ খামারটি গড়ে তুলতে আমাদের ১৮ লাখ টাকা খরচ। করোনার সময়ে এত টাকা ব্যয় হওয়ায় আমরা দুজনেই একটু আর্থিক সংঙ্কটে পড়ে যাই।

তিনি আরোও জানান, খামারের হাঁস, মুরগী, কবুতর ও ছাগল পূর্বের চেয়ে বর্তমানে বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আর্থিক সংকটের জন্য পারছি না। কৃষি ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের লোনের জন্য চেষ্টা করছি। তবে লোন পাচ্ছি না। লোনের জন্য আমার অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। করোনাকালিন সময়ে সরকারিভাবে সহায়তা পেলেখামারটি আরোও সুন্দরভাবে সাজাতে পারব।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হযরত আলী বেপারী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,এই ইউনিয়নে দুটি খামার রয়েছে। যদি কারো কোন সহায়তার প্রয়োজন হয়। তবে তারা কেউ ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর আবেদন করলে সহায়তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২২ মার্চ ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur