১৯৭১ সালের এ দিনে মুজিব-ইয়াহিয়ার মধ্যে চতুর্থ দফায় বৈঠক হয়। অন্য দিনের মতো না হলেও সেদিনও খুব বেশি এগোয়নি কোনও আলাপ। সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে পরবর্তীতে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠক ব্যর্থ হলে অপারেশন সার্চলাইট
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ১৩০ মিনিট আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহকর্মীরা প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তাঁর বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।’ তিনি জানান,রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথে তারা এগোচ্ছেন।
২০ মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল হামিদ খান,পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খান,জেনারেল পীরজাদা,জেনারেল ওমর,জেনারেল মিঠঠাসহ সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি গোপন বৈঠকে বসেন।
এ বৈঠকে তিনি সামরিক প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেন। শেখ মুজিবের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হলে কী করণীয় হবে সে বিষয়েও আলোচনা হয় এবং ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুমোদন করা হয়।
আন্দোলন চলবে
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবারও আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। জয়দেবপুরে সেদিনও সান্ধ্য আইন অব্যাহত ছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও আওয়ামী লীগের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে চতুর্থ দিনের মতো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০ টায়। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু যখন প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বাইরে এলেন,তখন শত শত কণ্ঠের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তাঁকে আচ্ছন্ন করে।
অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত
এ দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বাড়িতে বাড়িতে কালো পতাকা ওড়ানো অব্যাহত থাকে। সরকারি,আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে স্বাধীনতার দাবিতে সভা-শোভাযাত্রা চলে।
বার্তা কক্ষ , ২০ মার্চ ২০২১
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur