১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী অভয়াশ্রম ঘোষনা করেছে সরকার।
এ সময় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরন, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। তাই এই দুই মাস সরকারি নির্দেশ মেনে মাছ বিক্রয় বন্ধ রাখেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি। আর অভয়াশ্রমের পূর্বে সমিতির পক্ষ থেকে জাটকা মাছ না বিক্রয় করার জন্য মাইকিং করা হয়।
১৯ মার্চ শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাছঘাটের ১৩১টি মাছের আড়ৎ এর মধ্যে প্রায় সবগুলোই বন্ধ রয়েছে। তবে কয়েকটি আড়ৎ এ চাষের চিংড়ি, রুই, কাতল, মৃগেল মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশের মৌসুমে মাছে ভরপুর থাকে চাঁদপুর মাছঘাট। আর এখন অভয়াশ্রম চলায় ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।
ব্যবসায়ী হাজী হযরত আলী বেপারী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, মাছঘাটে মূলত ইলিশ ও নদীর মাছই বেশী বিক্রয় হয়। এখন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছঘাট ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।
মাছঘাটের ঢালী ফিসের পরিচালক হালিম ঢালী জানায়, জাটকা মৌসুমে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও বেকার হয়ে যায়। তাই আমরা কিছু চাষকৃত রুই, কাতলসহ অন্যান্য মাছ বিক্রয় করি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ হাজী মোঃ শবেবরাত চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমরা যেহেতু সচেতন ব্যবসায়ী। তাই সরকারী আদেশ সবসময় মেনে চলি এবং সবসময় মেনে চলবো। আমরা মার্চ এপ্রিল ২ মাস নদীর মাছ বিক্রয় করি না। শুধু চাষের চিংড়ি, রুই, কাতল, মৃগেল বিক্রয় করি।
তিনি আরোও বলেন, মাছঘাটে ২৮৭ জনের মধ্যে বর্তমানে ১৩১ জন আড়ৎদার রয়েছে। সকলেই এই দু মাসে বেকার হয়ে যায়। অভয়াশ্রম শুরু হওয়ার পূর্বে সমিতির পক্ষ থেকে জাটকা বিক্রয় না করার জন্য মাইকিং করা হয়। এছাড়া এই মাছ বিক্রয় করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘাষনা করা হয়। আর মাছঘাটের কোন ব্যবসায়ী জাটকা বিক্রয় করেন না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুল বাকী চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, মৎস্য ব্যবসায়ীরা সবসময় আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেন। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, জাটকা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে মৎস্য আইনে ২ বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,১৯ মার্চ ২০২১