চট্টগ্রামে কিশোরীকে মারধরের ঘটনায় ‘লেডি কিশোর গ্যাং লিডার’ তাহসিনা সিমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মারধরের শিকার ওয়াসিকা আক্তার মামলাটি করেন।
মামলায় সিমির সহযোগী মেহেরুল ইসলাম নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন জানালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হোসেন মোহাম্মদ রেজা সিমির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ আরও জানায়, শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এক মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের কাছেই দাঁড়িয়ে ও বসে কথা বলছেন দুই কিশোরী ও এক কিশোর।
দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তার ছেলে বন্ধুকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘ওইদিন আমাকে মারার জন্য ছুরি নিয়েছে বেটা।’ উত্তরে বসে থাকা কিশোরী নিজের গাল এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি আমারে মারো, মারো মারো। মারতে বললাম মারো না।’
এ সময় পেছনে এসে সিমির সহযোগী ও ছেলেবন্ধু বসে থাকা কিশোরীর মাথায় আঘাত করে বলতে শোনা যায় ‘মারলে এভাবেও তো মারা যায়’।
আঘাত পেয়ে নির্যাতিতা কিশোরী বলেন, ‘ভাইয়া প্লিজ। কিন্তু ওই কিশোর তার কথা না শুনেই ‘ওকে মারবা কেন’ বলে কিশোরীর মাথায় ও মুখে আঘাত করতে থাকে এবং বলতে থাকে ‘আমাকে চেন তুমি’।
একপর্যায়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চাইলে তুমি এখান থেকে জিন্দা যাইতে পারবা না। তুমি ওইদিন কোন সাহসে ছুরি নিয়েছ। আমি চাইলে তুমি যেতে পারবা না।’
এ সময় নির্যাতিতা কিশোরী তার হাত ধরে অনুনয়-বিনয় করলেও মন গলেনি তার। উত্তরে মারধরকারী কিশোরীকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি জানো, আমি বললে এখানে তোমার লাশ ফেলে দেবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে পতেঙ্গা থানার এসআই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শনিবার রাতে সিমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পতেঙ্গা থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, ‘শনিবার রাতে ভিকটিম মহিলা সিমির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে (সিমিকে) রোববার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া সিমির সহযোগী ও ছেলেবন্ধু মেহেরুলকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
নিউজ ডেস্ক,১৪ মার্চ ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur