কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগে দুই যাত্রী নিহত ও ২১ জন আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে বাসের মালিক ও চালককে আসামি করে এই মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হচ্ছেন মতলব এক্সপ্রেস বাসের মালিক মো. মিজানুর রহমান। তিনি দাউদকান্দির স্ববাহন গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে। মামলায় মতলব এক্সপ্রেস বাসের চালককে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া মতলব এক্সপ্রেস বাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর : ঢাকা-জ-১৪-০১৪৪।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার তাঁর থানার এসআই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের অবহেলাজনিত কারণে বাসে আগুন লেগে দুই যাত্রী নিহত ও নয়জন অগ্নিদগ্ধসহ ২১ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মতলবগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সিলিন্ডারে গ্যাস নেওয়ার পর দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাসটিতে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। আতঙ্কিত হয়ে বাসের চালক ও সহকারী নেমে গেলেও হুড়োহুড়ির মধ্যে যাত্রীরা অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ দুইজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। অগ্নিদগ্ধসহ গুরুতর আহত হন অন্তত ২০ জন।
পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভিয়ে অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিদগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। বাসটিতে ২৫/৩০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দাউদকান্দির তিনপাড়া গ্রামের আহমদ উল্লাহর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৭৫) ও বনুয়াকান্দির সাইফুল ইসলামের সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু সাফিন। নিহত শিশু সাফিন তার দাদির সঙ্গে একটি দাওয়াতে অংশ নেওয়ার জন্য মতলবে যাচ্ছিল।
পরে নিহত দুইজনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আহতদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
কুমিল্লা প্রতিনিধি,১৩ মার্চ ২০২১