বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের জন্য ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার মুল নথি সিআরমিসে থাকায় ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফ চার্জশিট গ্রহণের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে নৌ পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন, সুপারভাইজার আবু সাঈদ, সেলিম হোসেন ও সালাম ময়ূর কম্পানির সার্বিক পরিচালনাকারী। তাঁদের ভুল দিকনির্দেশনা এবং পরিচালনাকারীদের ভুলে ৩৪ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রায় আট মাসের তদন্ত শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল আলম এ অভিযোগপত্র দেন। আগামী ৯ মার্চ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন লঞ্চটির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ, সেলিম হোসেন, আবদুস সালাম, ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, লঞ্চের মাস্টার জাকির হোসেন, আবুল বাশার মোল্লা, সুকানি নাসির মৃধা ও কর্মচারী মো. হৃদয়। তাঁদের মধ্যে নাসির মৃধা ও মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ মামলায় আসামিদের মধ্যে লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ, লঞ্চটির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ, সেলিম হোসেন ও আবদুস সালাম জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া লঞ্চের ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, লঞ্চের মাস্টার জাকির হোসেন, আবুল বাশার মোল্লা, সুকানি নাসির মৃধা ও কর্মচারী মো. হৃদয় কারাগারে আছেন।
গত বছরের ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পরদিন ৩০ জুন সদরঘাট নৌ পুলিশের এসআই শামসুল আলম বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়া সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বেপরোয়াভাবে লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়।
বার্তাকক্ষ, ০৯ মার্চ,২০২১;
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur