কুমিল্লার দেবিদ্বারের স্টুডিও ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র পালকে হত্যার ঘটনায় আসামি ফিরোজ মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র পাল উপজেলার মোহনপুর বাজারের সুমা ডিজিটাল স্টুডিও’র মালিক ছিলেন। তিনি মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের সুরেশ চন্দ্র পালের ছেলে। হত্যাকারী ফিরোজ মিয়া উপজেলার বাউরা গ্রামের মৃত শব্দর আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম। তিনি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। আর আসমি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.ইলিয়াস মিন্টু ও অ্যাডভোকেট জয়দেব চন্দ্র সাহা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গভীররাতে মোহনপুর বাজারে নারায়ণের পাশের দোকান প্রীতি ডিজিটাল স্টুডিও’র মালিক আসামি ফিরোজ মিয়া তার স্টুডিওতে প্রবেশ করে। এ সময় ফিরোজ ঘুমন্ত অবস্থায় নারায়ণের দুই হাত ও দুই পা বেঁধে ফেলে।
পরে বৈদ্যুতিক শক ও স্টুডিও’র ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে নারায়ণের শ্বাসনালি কেটে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ঘাতক ফিরোজ স্টুডিওর ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা,প্রিন্ট্রার্স, কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন নারায়ণের ভাই দুলাল চন্দ্র পাল বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় দেবিদ্বার থানার পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই আসামি ফিরোজ মিয়াকে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করে।
প্রতিবেদকঃজাহাঙ্গীর আলম ইমরুল,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১