নওগাঁয় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার বন্ধুদের মারপিটে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত যুবকের নাম হামিম হোসেন (২০)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার মুরাদপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। রাজশাহী কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর আসিফ হোসেন সজল (২৯) নামের একজনকে আটক গ্রেফতার পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হামিম হোসেন ও তার চাচাতো ভাই সাব্বির রহমান নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ে বিয়ের দাওয়াত খেতে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে শহরের দয়ালের মোড়ে উত্তরা ক্লিনিকের পাশে হামিম হোসেন তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় প্রেমিকার তিন বন্ধু শহরের চকমুক্তার মহল্লার ও নওগাঁ মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ হোসেন সজল (২৯), শহরের দয়ালের মোড়ের মামুনুর রশিদের ছেলে সুরুজ (২৬) ও মতিউর রহমানের ছেলে প্রান্তসহ (২৭) ৪-৫ জন হামিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করেন।
আসিফ হোসেন সজল হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে হামিমের মাথায় আঘাত করেন। হামিমের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান।
এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন হামিমের মা ভেনি আকতার ও বাবা শাহাদত হোসন। তারা তাদের একমাত্র সন্তানের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মামলার পর দুপুরে অভিযান চালিয়ে আসিফ হোসেন সজলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে জোর তৎপর চলছে।
বার্তা কক্ষ,১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১