কচুয়ায় খড়ের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। যে খড়ের আটি বিক্রি হতো ২শ থেকে ৩শ টাকায় সে আঠি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকায়। কৃষকরা বলছেন বর্ষার শেষ সময় অতিবৃষ্টি এবং জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় তৈরি হয়েছে সংকট। আর এতে বেড়েছে খড়ের দাম।
কচুয়ায় আগের চেয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে খড়। এতে কৃষক কিছুটা খুশি হলেও বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারীরা। খামারীদের অভিযোগ আকস্মিক ভাবে গরুর খাবার যোগাতে দ্বিগুন টাকা দিতে হচ্ছে।
এদিকে খড়ের দাম বাড়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও বিপাকে পড়েছেন খামারীরা। একদিনের গো-খাদ্য যোগাড় করতে খামারীদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা।
কৃষক পালাখাল ও দোয়াটি গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম,আব্দুর রহমান বলেন, খড়ের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে আমরা অনেক খুশি। গত মৌসুমে খড়ের দাম ছিল না। খড়ের মূল্য পাওয়ায় চলতি বছরের বেশি করে রোপা আবাদ চাষাবাদ করেছি।
খামারী জীবন সাহা,রবি চৌধুরী ও ইসমাইল ভূঁইয়া জানান ,গরুর গো-খাদ্য হিসেবে প্রধান খাদ্য হলো খড়। কিন্তু বর্তমানে খড়ের মূল্য দ্বিগুন হওয়ায় একদিনের খাবার যোগাড় করতে হিমসিম হচ্ছে। এতে করে আমরা খামারীরা খুবই বিপাকে রয়েছি।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ১২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যা কাটা শেষ হলেই দাম কমে যাবে এবং পাশাপাশি আবাদ জমিতে ঘাস চাষ ও ভুট্টা গরুর বিকল্প গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলে খড়ের মূল্য হ্রাস পাবে।
প্রতিবেদকঃজিসান আহমেদ নান্নু,৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur