Home / চাঁদপুর / সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে: মেয়র জুয়েল
সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে

সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে: মেয়র জুয়েল

‘সৃজনের আলোয় বিকশিত হোক মন ও মনন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাহিত্য মঞ্চ ও চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের যৌথ আয়োজনে এবং চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ‘সমাজ বিনির্মাণে শিল্প-সাহিত্যের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শহরের জোড়পুকুর পাড়স্থ চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি মিলনায়তনে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ।

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি কবি আবৃত্তিকার সামীম আহমেদ খানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ‘সমাজ বিনির্মাণে শিল্প-সাহিত্যের ভূমিকা’ বিষয়ে আলোচনা করেন শিল্পচূড়ার সদস্য সচিব নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী মইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ মিন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ব্যক্তি সমাজকে বিনির্মাণ করে। আমরা যেরকম সমাজ দেখতে চাই, সেরকম মানুষ খুঁজি। কিন্তু সেরকম মনস্তাত্ত্বিক মানুষ গড়ে তুলতে হবে। সমাজকে যদি পরিবর্তন করতে হয়, তবে যে প্রজন্মটা বড় হয়ে উঠছে তাদেরকে ঘিরে চিন্তা করতে হবে। অথচ আমাদের সমাজে বড়দের নিয়েই বেশি চিন্তা করা হয়। সমাজের দর্পন হলো শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি। তাই এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে যে ‘নান্দনিক চাঁদপুর’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পৌর এলাকায় বেশকিছু মুক্তমঞ্চ করবো, পুরোনো পাঠাগারটি ভেঙ্গে বহুতল ভবন করবো। যেখানে অধুনিক পাঠাগার, অডিটোরিয়াম, প্রবীণদের জন্যে সুব্যস্থাসহ অনেক কিছু থাকবে। এই অর্থবছরেই আমরা কাজ শুরু করবো।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, আজকে ব্যতিক্রমী একটি আয়োজনে আসতে পেরে ভালো লাগছে। এই সুন্দর আয়োজনটি খোলা কোনো জায়গায় করলে আরো বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হতে পারতো। আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি ফেইসবুক আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদেকে বইমুখী করতে হবে। এজন্যে লেখকদের লিড দিতে হবে।

অনুষ্ঠনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জিগীষা সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ও সমাজকর্মী মনিরা আক্তার, ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বানিজ্য প্রতিদিন এর সম্পাদক শাহরিয়ার পলাশ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি তছলিম হোসেন হাওলাদার, সদস্য সচিব ও সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক, লেখক ও প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজনের সমন্বয়ক ও চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি ম. নূরে আলম পাটওয়ারী এবং সাহিত্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কবি ও গল্পকার আশিক বিন রহিম।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বিথী নন্দী, নুরুন্নাহার নিশি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পচুড়ার আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান সেলিম, চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের কবি ইকবাল পারভেজ, মোখলেসুর রহমান ভুইয়া, কবি ও গল্পকার শাহমুব জুয়েল ও কবি কাজী সাইফ। এছাড়াও কবি ও লেখক সঞ্জয় দেওয়ান, সাহিত্য মঞ্চের সংস্কৃতি সম্পাদক শুভ্ররক্ষিত, কবি শরীফুল্লাহ, নারগিস তন্বী, সাদ্দাম হোসেন, বেলাল হোসাইন, সাদ আল আমিন, সামিয়া আলম, শ্রাবনী সেন, তামিমা মোবাশ্বার, ফারজানা ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম রণিসহ জেলার বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও তরুণ সাহিত্যকর্মী বৃন্দ।

স্টাফ করেসপন্ডেট,২৯ জানুয়ারি ২০২১