Home / সারাদেশ / ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই খুন
Dead-Body
প্রতীকী ছবি

ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই খুন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন কেন্দ্র করে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই খুন হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম নিজামউদ্দীন।

২৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৮টার দিকে নগরের পাহাড়তলীতে এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়তলী থানার ওসি ইমাম হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহত নিমাজউদ্দীন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী।

তার ভাই সালাউদ্দিন কামরুল ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।

নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট শুরু হয়; বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. হারুন-উর রশীদ।

অন্যদিকে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুজনিত কারণে এ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে না। তবে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এদিকে প্রতিবার ভোটে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও এবার তা করা হয়নি।

চসিক নির্বাচনে ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

তবে এর মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৮০ হাজার, যারা এবারই প্রথম ভোট দেবেন। নতুন ভোটাররাই এবারের ভোটে মেয়র-কাউন্সিলর নির্বাচনে ফ্যাক্টর হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।

চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৩৫ প্রিসাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।

এ ছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার ১৬৩ ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র এবং চার হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূডান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য ৭০ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী গ্রহণ করেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

এ সময়ে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হলে নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।

বার্তা কক্ষ,২৭ জানুয়ারি ২০২১