আট হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছিল। রাত পোহালেই ঢাকার দোহারে সবুজের জন্য মেয়ে দেখে আংটি পরানোর কথা ছিল। কিন্তু আংটি আর পরানো হলো না। তবে তার আগেই কবরের যাত্রী হলো সবুজ।
২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কাঁদতে কাঁদতে এ কথাগুলো বলেন সবুজের বড় ভাই ব্যাংকার রেজাউল করিম শামীম।
সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর (উ.) ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ফরাজিবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে হৃদয়বিদারক দৃশ্য। বাবা মোতালেব ও মা খুশিদা বেগম বাকরুদ্ধ। চলছে দাফনের প্রস্তুতি।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কামরুল ইসলাম সবুজ ও তার বন্ধু আরিফ, ইব্রাহিম কচুয়ায় একটি জানাজায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এ সময় বেঁচে যান চালক ইব্রাহিম।
সবুজের ভাই রেজাউল করিম শামীম ও আরিফের স্বজন হাবিবউল্যা মজুমদার বলেন, নিহতদের মৃতদেহ কচুয়া থানা থেকে বাড়ি আনা হয়েছে। দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, তিন বন্ধু নানাবাড়ি কচুয়া উপজেলার তুলাতলী গ্রামে এক জানাজা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে মোটরসাইকেলে হাজীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
হাজীগঞ্জ-গৌরীপুর কচুয়া সড়কের ডুমুরিয়া নিলামপাড়া এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল ইসলাম সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরিফ ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।
গুরুতর আহত ইব্রাহীমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহত কামরুল হাসান সবুজ মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে ও আরিফ হোসেন জগন্নাথপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন খোকনের ছেলে। তারা দুজনে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
করেসপন্ডেট,২৬ জানুয়ারি ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur