Home / জাতীয় / বিল পাসের দু’দিনের মধ্যেই এইচএসসি’র ফল : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি
Dr-Dipo-Moni-...
ফাইল ছবি

বিল পাসের দু’দিনের মধ্যেই এইচএসসি’র ফল : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলপ্রকাশে সংসদে উত্থাপিত পৃথক তিনটি বিল পাস হওয়ার দু’দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হবে। তার পরপরই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

রবিবার ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ পাসের সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এ তথ্য জানান।

রবিবার পাস হওয়া অন্য দু’টি বিল হচ্ছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১।

বিলের সংশোধনীতে অবিলম্বে কার্যকর হওয়া শব্দটি যুক্ত করার প্রস্তাবের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফল তৈরি করে বিল তিনটি অর্ডিনেন্স আকারে পাস করে সঙ্গে সঙ্গে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি ছিল আমাদের। কিন্তু যেহেতু ১৮ জানুয়ারি সংসদ বসছে,এ কারণে অর্ডিনেন্স আকারে পাস না করে বিল আকারে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিলটি পাশ হয়ে গেলে গেজেট প্রকাশের জন্য দু’দিনের মতো সময় লাগবে। তারপরই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারবো। কাজেই এটি নিয়ে বিলম্বের কোনও সুযোগ নেই।’

এর আগে বিল বাছাই কমিটির পাঠানোর প্রস্তাবের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,‘শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সবদেশেই একই অবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ দেশে বাংলাদেশের মতো কাছাকাছি পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। একেবারে চিন্তা-ভাবনা ছাড়া এভাবে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে এমন ভাববার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী,শিক্ষাবিদ,কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটি—সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘অনেকে হঠাৎ করে একটা পর্যায়ে গিয়ে ভালো ফল করেন। তবে এটাও ঠিক এসএসসির চেয়ে এইচএসএসিতে একটু কঠিন এবং নম্বর কম পেয়ে থাকে। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেওয়া হবে। যারা মেধাবী তারা এ দু’টি পরীক্ষায় মেধার সাক্ষর রেখেই এসেছেন। কাজেই মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন,এটা সত্য নয়। যার যে মেধার স্তর সেই অনুযায়ী ফল পবেন।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখতে পেরেছি।’

কওমি মাদ্রাসা খোলা রাখা প্রসঙ্গ তিনি বলেন,‘কওমি মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এতিম ও দুস্থ। তাদের বেশিরভাগই আবাসিক। সেখানে তারা থাকার সুযোগ না পেলে তাদের জীবন দুঃসহ অবস্থায় পড়বে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অনেকগুলো শর্ত সাপেক্ষে এটা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখানেও মানবিকতা,স্বাস্থ্য সবকিছু বিবেচেনায় নেয়া হয়েছে।’

ঢাকা ব্যুরো চীফ,২৪ জানুয়ারি ২০২১
এজি