কুমিল্লার মুরাদনগরে একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী চক্রের অত্যাচার-নির্যতন, জবরদখল, হত্যা ও হামলা, মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী গ্রামবাসী।
৩০ ডিসেম্বর বুধবার সকালে জেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন আন্দিকোট ইউনিয়নের জারেরা গ্রামের গাবতলী বাজারে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ অংশ নেন। নিহত ময়নাল হোসেনের মা আমেনা খাতুন, শিশু মিয়া, হেলাল মিয়া, ইব্রাহীম মিয়া, ইয়ার হোসেন, আবদুর রহমান এবং লিপি আক্তারসহ অন্যান্য ভূক্তভোগীরা এতে বক্তব্য রাখেন।
ভূক্তভোগীরা জারেরা বা জাড্ডা গ্রামের প্রয়াত হোসেন মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল (জলিল মাস্টার), তার ভাই সহিদ মিয়া মেম্বার ও নূরু মিয়াকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দেন।
তারা জানান, জারেরা বা জাড্ডা গ্রামের প্রয়াত হোসেন মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল (জলিল মাস্টার), তার ভাই সহিদ মিয়া মেম্বার ও নূরু মিয়াসহ একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ ওই গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদের অত্যাচার-নির্যতন, জবরদখল, হত্যা ও হামলা, মামলায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। গ্রামের অনেক নিরীহ পরিবার আজ সহায়সম্বলহীন।
তারা আরও জানান, বিগত ২০১৫ সালে ওই গ্রামের প্রয়াত আবদুল কাদের এর ছেলে প্রবাসী ময়নাল হোসেনকে হত্যা করে এই চক্রটি। হত্যায় জড়িত জলিল মাস্টার এবং তার ভাই সহিদ মিয়া মেম্বারসহ এই চক্রের ৭ জনকে অভিযুক্ত করে নিহত ময়নাল হোসেনের মা আমেনা খাতুন মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার অভিযুক্ত হয়েও কালো টাকা ও ক্ষমতার প্রভাবে এই চক্রের সদস্যরা ধরাছুঁয়ার বাইরে। এরা ওই গ্রামের আছিয়া খাতুনের ভূমি জবর খল করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে। এদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান ভূক্তভোগীরা।
এসময় লোকমান মেম্বার, হাজী নূরুল ইসলাম, আবু সায়েম, তাজুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, ফজলু মিয়া, সজল মিয়া, মহসিন, দিদারুল আলম, জাকির হোসেন, আবদুস সালাম, বাছির মিয়া, আবদুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য ভ‚ক্তভোগী ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল জলিল মাস্টার মোবাইল ফোনে জানান, এসব অভিযোগ সত্য নয় এবং সবকিছুই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক,৩০ ডিসেম্বর ২০২০