চাঁদপুরের মতলবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ মেরামতে ৮০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে বলে মতলবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে ।
মতলবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মামুন হাওলাদার আজ সোমবার ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,‘মতলব মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার-আমিরাবাদের এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ১৫ মিটার জায়গা হঠাৎ দেবে গেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান , অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ঐ স্থানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বালুর পানি বাঁধের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে এ ভাঙ্গন হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন ।’
গতকাল ২৭ ডিসেম্বর সকালে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে এলাকা পরিদর্শন পূর্বক সার্ভে করা হয়েছে এবং কালই ডিজাইন করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। জিও টেক্সটাইল দিয়ে পূর্বের স্থিতি ফেরাতে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে । যার প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত,চাঁদপুর মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে ফের ধসের ঘটনা ঘটেছে। বাঁধের ৫০ মিটার এলাকায় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর শনিবার সকালের দিকে বাঁধটির জনতা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে সাময়িকভাবে ধসে পড়া স্থান মেরামত করে।উপজেলার জনতা বাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তারা সকালে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে যান।
বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ২শ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। খবর পেয়ে পাউবোর প্রকৌশলীসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটির প্রাথমিক পুন:মেরামত করা হয়। ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকায় ৫০ মিটারের বেশি এলাকা ধসে গেছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো.আলাউদ্দিন বলেন,‘ ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়। এর আগে চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মূল বাঁধের ৮০ কিলোমিটার এলাকা ধসে যায়। জিও ব্যাগ দেয়ে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে পাউবো।’
আবদুল গনি ,২৮ ডিসেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur