Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে জমি তৈরী না করে কাঁদা মাটিতেই রসুন চাষ করছেন কৃষকরা
চাঁদপুর হাজীগঞ্জে, চাঁদপুর হাজীগঞ্জে

হাজীগঞ্জে জমি তৈরী না করে কাঁদা মাটিতেই রসুন চাষ করছেন কৃষকরা

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে কাদা-মাটিতে রসুনের চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। যেখানে কাদা-মাটিতে রসুন পঁচে যাওয়ার কথা সেখানে কাদা মাটিতে রসুনের বীজ বপন করে তা থেকে ভালো ও লাভজনক ফলন আসছে। কৃষকের নিজস্ব ভাবনা থেকে কৃষি জমিতে রসুনের চাষ শুরু করেছেন।

এর আগে একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভালো ফলন পাওয়ায় এবারো একই পদ্ধতিতে রসুনের চাষ শুরু করেছে উপজেলার কিছু কৃষক। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কৃষি অফিস থেকে কোন নির্দেশনা নেই বলে জানান চাষীরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলিত বছর উপজেলার অধিকাংশ কৃষি জমি থেকে বর্ষা মৌসুমের পানি এখনো নামেনি। যার কারনে বহু কৃষক আলু, টমেটো, সরিষা, রসুন, পেঁয়াজ চাষ শুরু করতে পারেনি। দেরিতে পানি নামার কারনে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে মাত্র এ সকল কৃষক। তবে স্থানীয়ভাবে কিছু কৃষক নিজস্ব ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে রসুনের চাষ শুরু করেছেন। এই জমিতে বীজ রোপনের আগে জমি তৈরি কিংবা নিড়ানি দিতে হয় না। বিষয়টি অন্য ৮/১০ কৃষকের কাছে অসম্ভব বা ধোঁয়াশার মতো মনে হলেও এটার বাস্তবতা মিলতে শুরু করেছে হাজীগঞ্জে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, সাধারন রসুন কিংবা পেঁয়াজ চাষ করতে হলে মাটিকে একেবারে গুড়া করে জমি তৈরি করতে হয়। এর মধ্যে বীজ রসুন কোয়া হিসেবে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে রসুনের বীজ রোপন করতে হয়। কিন্তু কাদা মাটিতে রসুন রোপনের পদ্ধতিটা একেবারে উল্টা।

উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের সন্না পশ্চিম মাঠের কাদা-মাটিতে রসুন চাষকারী কৃষক আমির হোসেন জানান, জমিতে স্যাঁতস্যাতে কাদার মধ্যেই রসুনের বীজ নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বীজের এক তৃতীয়াংশ চেপে বসিয়ে দিতে হবে। এর কয়েকদিন মধ্যেই জমির পানি শুকিয়ে স্যাঁতস্যাতে ভাবটা চলে যায় পাশাপাশি রসুন বীজ থেকে পাতা গজিয়ে উঠতে শুরু করে।

এরই মধ্যে জমির মাটি শুকিয়ে গেলে রসুনের লাগানো বীজের লাইন ঠিক রেখে মাটিকে ছোট কোদালের মাধ্যমে টেনে নিয়ে সারি বা কেল তৈরি করে দিতে হবে। এই কেল করতে গিয়ে রসুনের বীজ পুরোপুরি মাটিতে ঢেকে যাবে। এর পরেই স্বাভাবিক পরিচর্ষা করলে রসুন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রসুন চাষ করলে প্রথমে জমি তৈরির কোন খরচ লাগাবে না পাশাপাশি ফলনটা বেশ ভালো ও পুষ্ট হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুর রহমান জানান, কৃষি জমি থেকে দেরিতে পানি নামলে নির্দিষ্ট সময় কৃষক এভাবেই মসলা চাষ করলে ভালো ফলন পাবে। তবে আগ্রহী কৃষকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে পরামর্শ দেব।

করেসপন্ডেট,১৪ ডিসেম্বর ২০২০