চাঁদপুর হাইমচরে ড্রাগন চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন প্রবাসফেরত সফিউল্লাহ হাওলাদার নামের এক কৃষক। মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন চাষ করে মাসে আয় করছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ কারণে তিনি ড্রাগনের আবাদ আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।
প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করে ৩০ শতাংশ জমিতে ২০১৯ সালে ড্রাগন আবাদ শুরু করেন হাইমচর উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের প্রবাসফেরত সফিউল্লাহ হাওলাদার। মাত্র আট মাসের মধ্যেই তিনি প্রথম ফলন পান।
এরপর থেকে প্রতি মাসে যে ফলন পাচ্ছেন তাতে লাভ হচ্ছে অন্তত ১০ হাজার টাকা। ড্রাগনের আবাদ আরো বাড়াতে চান তিনি।
ড্রাগন চাষি সফিউল্লাহ ৪০০ চারা দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার ড্রাগন গাছ ২ হাজার। বাংলাদেশে ২০০৭ সালে প্রথম থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এ ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। এর জাত তিনটি, বারি-১ এবং বারি-২, বারি-৩। একবার গাছ লাগালে প্রায় ২০ বছর এর ফল পাওয়া যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

অপরদিকে তার দেখাদেখি ড্রাগন চাষে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন।
সফিউল্লাহ হাওলাদার প্রবাসী হওয়ায় ড্রাগন বাগানের দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী আয়েশা বেগম। তার হাত ধরেই ড্রাগন চাষে এতটা সফলতার মুখ দেখেছেন সফিউল্লাহ হাওলাদার।
চাষের বিষয়ে আয়েশা বেগম বলেন, ড্রাগন বাগান তৈরি করতে আমার বেশকিছু রেডি ফিলার এবং চারাগাছের প্রয়োজন হয়। যাতে মোট এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছিল। এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
এই ফলের বাগানের আরেকটা দিক হলো ড্রাগন গাছ উপরে থাকায় এবং এর কোন পাতা না থাকায় নিচের অংশে অন্যান্য সবজির চাষও করা যায়, যা অত্যন্ত লাভজনক। আমার এই বাগান বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়টি নিয়ে খুব গুরুত্বসহকারে কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরদার জানান, চাঁদপুরের একমাত্র ড্রাগন চাষি হিসেবে কৃষক সফিউল্লাহকে সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে।
করেসপন্ডেট,১১ ডিসেম্বর ২০২০
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur