করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘হেলথ কানাডা’ এই অনুমোদনের কথা জানায়।
ব্রিটেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনটি ব্যবহার ও সরবরাহের অনুমোদন দিল দেশটি। বিবিসির প্রতিবেদনে ‘হেলথ কানাডা’ ভ্যাকসিনের এই অনুমোদনকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জানা যায়, কানাডা সরকার সর্বমোট ২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করবে দেশটির নাগরিকদের জন্য। এর আগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, চলতি মাসে ফাইজারের থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ডোজ নেবে কানাডা। যার প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে কানাডা পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ফাইজার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। ভ্যাকসিন বিতরণের সুবিধার্থে সরকার সারাদেশে ১৪টি কেন্দ্র নির্দিষ্ট করেছে।
অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা নাগরিকদের মধ্যে শিগগিরই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে শারীরিকভাবে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা। এরপরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রাপ্তবয়স্করা, রিটায়ারমেন্ট হোমসের বাসিন্দা এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীরাও অগ্রাধিকারের দলে থাকবেন। তবে টিকাগুলো অন্যদের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছাতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
গত সোমবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা ট্যাম বলেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ কেবলমাত্র এমন মানুষদের দেয়া হতে পারে যারা ১৪টি বিতরণ কেন্দ্রের মধ্যে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেন।
বার্তাকক্ষ,১০ ডিসেম্বর,২০২০;