চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আজ ৯ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ‘ কুমিল্লা-চাঁদপুর জেলার নতুন ডাকাতিয়া নদী পুন:খনন এ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ’ বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের মান্যবর জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.জিল্লুর রহমান জুয়েল। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড.শ্যামল চন্দ্র দাস স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সমীক্ষার ওপর প্রবন্ধ উপস্থথাপন করেন স্পেশালিস্ট ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং আই ডাব্লিউ এম, ঢাকার মো.আসাদুল কোবির চৌধুরী ।
সমীক্ষার সার-বস্তুতে জানা যায়-নতুন ডাকাতিয়া নদী কুমিল্লার কান্দিরপাড় হতে চাঁদপুর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১২২ কি.মি.। অতীতে এ নদী খুব সক্রিয় ছিল। শুকনো মৌসুমেও সেচের পানির প্রাপ্যতা ছিল এবং নদীপথে মানুষ যাতায়াত করতো ।
সম্প্রতিক অতীতে নদীর তীরে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে নদীর তলদেশে পলিজমে এবং এর কারণে নদীর নাব্যতা হ্রাস পায় এবং নদীরতীরগুলো ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে । ফলে নদী ভাঙ্গন তরান্বিত হচ্ছে।
পুরাতন ডাকাতিয়া-–নতুন ডাকাতিয়া নদী ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প এর আওতায় নদীর পানি নিষ্কাশন নতুন ডাকাতিয়া নদী কাজ পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ নতুন ডাকাতিয়া নদীর চলমান পুন:খননের কাজ পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ের সচিব নতুন ডাকাতিয়া নদী পুন:খননের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবিলম্বে প্রকল্প প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং নিয়োগ করা হয়। নতুন ডাকাতিয়া নদী প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৫৬৮ কি.মি। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলার সদর,চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা অবস্থিত।
প্রকল্পের কাজ: নতুন ডাকাতিা নদী পুন:খনন,খননকৃত মাটি ব্যবস্থাপনা,নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এমন ব্রিজ চিহ্নিত করে তদস্থলে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা এবং নদী তীর সংরক্ষন করা।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য সমূহের মধ্যে রয়েছে-এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর করা, নদীর তীরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা,শুষ্ক মৌসুমে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা,নৌ-চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি করা, মৎস্য সম্পদের নিরাপদ ও টেকসই অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা ও বর্তমান কৃষি পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পরামর্শ প্রদান করা এবং আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থা সমীক্ষা করা ।
আবদুল গনি , ৯ ডিসেম্বর ২০২০