Home / জাতীয় / ইন্টারপোলের রেড অ্যালাটে ‘প্রথম মানবপাচারকারী’ বাংলাদেশি
মানবপাচারকারী

ইন্টারপোলের রেড অ্যালাটে ‘প্রথম মানবপাচারকারী’ বাংলাদেশি

ইন্টারপোলের রেড অ্যালাটে ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম আছে। তবে এ প্রথম মানবপাচারকারী কোনো বাংলাদেশির নাম সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে।

ডয়চে ভেলে জানায়, মিন্টু মিয়া নামে ওই পাচারকারীর বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করা এবং চাকরি প্রত্যাশীদের অবৈধভাবে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, এমনকি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তার নাম তালিকায় যোগ করে পুলিশ ও অপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। বর্তমানে সারা বিশ্বের সাত হাজার ৩৬৮ জন অপরাধীর নাম এই তালিকায় রয়েছে।

তালিকায় মিন্টু মিয়া সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, তার বয়স ৪১ বছর। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে রয়টার্সকে জানান বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা।

তিনি বলেন, ‘এই পাচারকারীরা বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এরপর লিবিয়ায় তাদের আটকে রেখে আরও অর্থের জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়।’

জান্নাত আরা বলেন, ‘ইন্টারপোলে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার কারণে তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে, কারণ যে দেশেই তারা যাক না কেন সেখানেই তাদের আটকের চেষ্টা করা হবে।’ লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের অষ্টম

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগ মূল অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে এবং পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের এখানে আসা বন্ধ হবে। এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে কিনা, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

গত মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

জুন মাসে অন্তত ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে দাবি করছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাচারকারী প্রায় চারশ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল।

মানবপাচারকারী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলতি বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার রুখতে বাংলাদেশ তৎপরতা বাড়িয়েছে। হাজার হাজার মামলা নিষ্পত্তি করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, যদিও অভিযুক্তের সংখ্যা এখনও কম।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১১ নভেম্বর ২০২০