চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহাতলী বাজারে ১.৩০ একর জমির মালিকানা নিয়ে দায়ের করা পিটিশন আদেশে দুই পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারি করে মহামান্য হাইকোর্ট। এর পরেও হাইকোর্টের এই নির্দেশনা অমান্য করে ওই জমিতে কাজ করার অভিয়োগে ৯৯৯ এ ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবার। সাথে সাথে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে আইন মেনে চলার নির্দেশ দেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।
৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার সময় মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকদ্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মডেল থানার এএসআই রমজান আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পিটিশন দায়ের করা প্রথম পক্ষ রুবেল কারি ও দ্বিতীয় পক্ষের পক্ষে শাহতলী ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজারের নিকট উচ্চ আদালতের নোটিশ হস্তান্তর করেন।
এব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রমজান জানান, হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক উভয় পক্ষকে এই জায়গার বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা যেন বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মান্য করে চলেন। কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন নং ১০৫২/২০২০ এবং চাঁদপুর সদর মডেল থানার সাধারণ ডায়েরি নং ১০০৩ ও ৯৯৯ তাং ২০/৯/২০২০ এবং ২৬৬ তাং ৫/১১/২০২০ আদেশ মোতাবেক প্রথম পক্ষ আব্দুল বারেক কারী পিতা-মৃত হাবিবুল্লাহ কারী সাং শাহাতলী এবং দ্বিতীয় পক্ষ শেখ আব্দুর রশিদ ও শেখ বাবুল পিতা শেখ বজলুর রহমান হামানকর্দি, চাঁদপুর সদর উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক ৩৩নং হালে ৫২ নং হামানকর্দ্দি মৌজার বিএস ২৬৩ এস এ ২৪৩, বিএস ডিপি ১৫৮নং খারিজী ৬০০ ও ৬০১ নং খতিয়ানের সাবেক ১৫৪৬ বিএস ৪১৩১ দাগে, ৫৭ একর, সাবেক ১৫৪৭ বি, এস ৪১২২ দাগের ২৪ একর, সাবেক ১৫৫৬ ও ১৫৫৭ বি এস ৪১৭৩ দাগে,৪৯ একর একুনে ১.৩০ একর ভূমি।
যার চৌহুদ্দি উত্তরে আব্দুল রাশিদ কারী ও বাদীগনের নিজ, দক্ষিনে ডাকাতিয়া নদী, পূর্বে শাহতলী আলিয়া মাদ্রাসা গং, পশ্চিমে বাদীগনের নিজ।
আব্দুল বারেক কারীর পুত্র রুবেল কারী জানান, শেখ আব্দুল রশিদ গংগন আমাদের ১.৩০ একর সম্পত্তি দীর্ঘদিন দখল করে রেখেছে। সম্পত্তি ফিরে পেতে আমরা আদলতের সরাপর্ণ হয়েছি। আদালত আমাদের অভিযোগকে আমলে নিয়ে উক্ত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা কাজ করছিলো। এ জন্য আমি ৯৯৯ আইনি সহযোগিতা চেয়ে ফোন করি।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় পক্ষের শেখ আব্দুর রশিদ ও বাবুল শেখ জানান, এই জায়গা আমাদের খরিদা সম্পত্তি। বারেক কারি তার জায়গা দাবি করে নানা ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমরা আমাদের জায়গায় ইট কাটার জন্য মাটির কাজ করছি।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৭ নভেম্বর ২০২০