২০১৫ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অসাধারণ সাফল্যের পরও এক বছর ওয়ানডে ক্রিকেটের বাইরেই থাকতে হবে বাংলাদেশকে। গত বছরের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আইসিসির ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ও ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে বিসিবি চাইলে এ সূচির বাইরেও অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে পারে।
গত বছর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ছাড়াও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিল মাশরাফিবাহিনী। কিন্তু নভেম্বরে শেষ ওয়ানডে খেলার পর অক্টোবর পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ না খেললে এটিই হবে ১৯৯৭ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর এ ভার্সনে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতি।
তবে ওয়ানডে খরা থাকলেও টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটে এবার সুখবর আছে। ২০০৬ সালের নভেম্বরে আর্ন্তজাতিক টোয়েন্টি২০-তে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত এ ভার্সনে মাত্র ৪৬টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা, সেখানে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ১৭টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে।
এবার ৫০ ওভারের পরিবর্তে টোয়েন্টি২০ ভার্সনে হবে এশিয়া কাপ, আর টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের প্রথমপর্বের বাধা পেরিয়ে সুপার টেনে খেলতে পারলে ১৭টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলা হবে বাংলাদেশের, অন্য কোনো দলই এ বছর এত বেশি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলছে না।
অন্যদিকে আইসিসির সূচির কারণে ১১ বছর পর ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে। কারণ ওই টুর্নামেন্টের আগে ৫ মাস পুরোটাই ক্রিকেটহীন থাকবে বাংলাদেশ।
আইসিসির সূচির ব্যাপারে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরীর বরাত দিয়ে কলকাতার একটি দৈনিক জানিয়েছে, ‘এফটিপির সূচিতে শ্লট ফাঁকা থাকবে যাদের, তাদের সঙ্গে হোম অথবা অ্যাওয়ে সিরিজ নিয়ে কথা বলব।’
অতিরিক্ত ম্যাচ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে মাথায় রাখতে হবে ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের কথাও, যেখানে সরাসরি খেলতে পারবে সেরা ৮ দল। বর্তমানে ৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ তাই চাইবে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেরা ৮-এর ভেতরে থাকতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৭টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
স্পোর্টস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:১৯ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার
এমআরআর