সিসি ক্যামেরা ঘাঁটার পাশাপাশি ৬২ হাজার মোবাইল ফোন নম্বরও বিশ্লেষণ করা হয় বলে ডিএমপির কোতোয়ালি জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সাইফুল আলম মুজাহিদ জানিয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট এলাকা থেকে এক কাপড় ব্যবসায়ীর কর্মচারীর কাছ থেকে ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
সে ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নেমে আশপাশের সব এলাকার সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি বিশ্লেষণ শুরু করে।
মোট ১৫৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা মুজাহিদ জানান।
একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, ছিনতাইয়ে সরাসরি জড়িত নীল রঙয়ের টি শার্ট, মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক ও পায়ে কেডস্ পরা একজন টাকার ব্যাগটি কাঁধে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
এরপর আরও ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে ইসলামপুরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেখতে পান পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থল এবং সন্দেহভাজন আসামিকে সিসি ক্যামেরায় যে সব জায়গায় মোবাইলে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল, সেই সব এলাকার সব মোবাইল ফোনের কললিস্ট সংগ্রহ করে প্রায় ৬২ হাজার ৮০০ নম্বর পায় পুলিশ।
“উক্ত ডেটা পর্যালোচনা ও দীর্ঘ দিন বিশ্লেষণ করে করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৭ জন আসামিকে শনাক্ত করা হয়,” বলেন মুজাহিদ।
এই ছিনতাইয়ে জড়িত সুলতান মাহমুদকে (৩৯) নামে একজনকে কেরানীগঞ্জের এক বাসা থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মামুন আল হাসান (৩১), খাইরুল ইসলাম (৪০), তুষার ইমরান (২৮), আরিফুল হাসান ফায়সাল (৩০), মো. নাহিন পারভেজকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
ফয়সালের দেওয়া তথ্যে মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ তন্ময়কে (৩৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মুজাহিদ আলম বলেন, “নীল টি-শার্ট পরা যুবকটি ছিল তন্ময়।”
ছিনতাই হওয়া ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বার্তা কক্ষ, ১৪ অক্টোবর ২০২০