চাঁদপুর হাজীগঞ্জে স্ত্রী লিপির পরকীয়ার বলি স্বামী আব্দুল রহিমের হত্যা মামলা দায়েরের ৮ মাসের মধ্যেও আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মামলা দায়েরের গত আট মাসের মধ্যেও আসামিরা আটক না হওয়ায় বাদীপক্ষকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উক্ত মামরার বাদীপক্ষের লোকজনের।
আর এর জন্য হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের গাফিলতির কারণেই আসামিরা এমনটা করার সুযোগ পাচ্ছে বলে বাদীপক্ষের অভিযোগ।
স্ত্রী লিপি বেগম পরকীয়ায় জড়িত থাকায়,তাকে সুচিকিৎসা না করিয়ে চিকিৎসা বাবদ মোটা অংকের টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা তাকে উন্নত কোন হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। আর সেখান থেকেই তারা তাকে সুকৌশল করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়,হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্তব্যপুর ইউনিয়নের দেশ গাঁও-গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল ভূঁইয়ার পুত্র আব্দুল রহিম ভূঁইয়াকে তার স্ত্রী লিপি বেগম ও তার ভাই লিটন ওরফে জুয়ারী লিটন সহ অন্যান্যরা মিলে চিকিৎসার নামে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তারা রহিম ভূঁইয়ার জমানো নগদ ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তার অনেক সম্পত্তি থাকায় সেগুলো আত্মসাৎ করার জন্যে তারা তাকে সুকৌশলে হত্যা করেন।
আর এই হত্যার অভিযোগ এনে মৃত আব্দুল রহিম ভূঁইয়ার ভাই আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি চাঁদপুর মোকাম বিজ্ঞ বিচারিক অমলী আদালতে ৬ জনকে আসামী করে ৩০২/৩০৪, (ক)/১০৯/৪০৬/১১৪/৫০৬/৩৪ ধারায় পেনাল কোডে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ২ জি আর ১১১।
এতে ১ নং আসামী করা হয় মৃত রহিম ভূঁইয়ার স্ত্রী ও কদর আলীর কন্যা লিপি বেগম (২৮), ২ নং আসামী তার ভাই লিটন ওরফে জুয়ারী লিটন, ৩ নং আসামী পপুল্লাহ সরকারের পুত্র সুজন সরকার (৩২),৪ নং আসামী জলিল উদ্দিনের পুত্র জসীম উদ্দিন (৪০), ৫ নং আসামী লিপির বোন সুমি ও মাতা শাহনাজ বেগম।
বাদী পক্ষ জানায়, হত্যা মামালা দায়েরের পর থেকেই উল্লেখিত আসামীরা বাদী পক্ষ আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার পরিবারকে তারা বিভিন্ন সময় হামলা, ভাংচুরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। তাদের এমন হুমকির কারনে আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া তার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ২৪ আগস্ট পুনরায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং ১০৪।
বাদীপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল রহিম ভূঁইয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটান। তিনি দেশে আসার পর একসময় তার ডায়াবেটিক এবং একটি পায়ে ঘা হয়ে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। প্রকৃত চিকিৎসার অভাবে একসময় তার একটি পা কেটে ফেলা হয়।
আসামিদেরকে যাতে খুব সহসাই গ্রেফতার করা হয় সেজন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইননচার্জ আলমগীর হোসেন রনি জানান, মামলার তদন্ত পক্রীয়াধীন রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। যখন আসামী আটক করার প্রয়োজন তখন আমরা আটক করবো।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১ সেপেটম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur