চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম)মোঃ সাদেকুর রহমান চাঁদপুর লাকসাম রেলপথ,ব্রীজ,স্টেসান ভবন ও নব নির্মিত ওয়াস ফিড পরিদর্শন ও ট্রায়াল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
১৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে চট্রগ্রাম থেকে মেইল ট্রেন যোগে লাকসাম আসেন। সেখান থেকে মটর ট্রলি যোগে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে লাকসাম রেলপথের চিতশী,মেহের,হাজিগঞ্জ,বলাখাল ও চাঁদপুর এলাকার রেলপথ,ব্রীজ,স্টেসান ভবন ও নব নির্মিত ওয়াস ফিড পরিদর্শন ও ট্রায়াল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পরিদর্শনকালে চিতশী ও বাকিলা বাজার এলাকার ৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
পরিদর্শন শেষে চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানাজার (ডিআরএম) মোঃ মোঃ সাদেকুর রহমান জানান,সারাদিন রেলওয়ে বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছি। দোষত্রুটি কিছু পেয়েছি,উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো জানানো হবে। করোনার কারনে সারা দেশে স্থবিরতা রয়েছে। চট্রগ্রাম শহরে আমরা অনেকগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। করোনার কারনে আমরা অভিযান বন্ধ রেখেছিলাম। খুব সহসাই চাঁদপুরে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়েছে। অচিরেই আরো কিছু ট্রেন চালু হবে। তাই লাইন ঠিক আছে কিনা তা পরিদর্শন করে দেখেছি। নব নির্মিত ওয়াশ ফিড পরিদর্শন করেছি,কি ত্রুটি আছে তা দেখেছি।
পরিদর্শনকালে ডিআরএম এর সাথে ছিলেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কর্মাশিয়াল অফিসার (ডিসিও) মোঃ আনসার আলী, চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ডিএন) মোঃ হামিদুর রহমান, চট্রগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মোঃ মাহবুবুল আলম,ডিএসটি সিগন্যাল তন্ময়,বিভাগীয় নিরাপত্তা কমান্ডেন্ট সফিক মৃধা, লাকসাম কাচারীর কানুনগো কাউছার হামিদ,জেলা রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাহাবুবুর রহমান সহ বিভাগীয় স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে নব নির্মিত রেলওয়ের ওয়াশ ফিড নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াশ ফিডের ট্রায়ালের প্রথম দিনে ৪টি ফিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। ট্রায়ালের জন্য ডেমো ট্রেন ভিতরে ঢুকলে এ ফাটল দেখা দেয়। ওয়াশ ফিড সোজা হওয়ার কথা থাকলে কিন্ত লাইন সম্পূর্ন বাকা হয়েছে। ওয়াশ ফিডের কাজ নিন্মমানের হয়েছে বলে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদার প্রতিস্ঠান চট্রগ্রামের রহিম এন্টার প্রাইজ।
প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,১৮ আগস্ট ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur