Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়নে দু’বছরে সাড়ে ১১শ’স্ট্রীট লাইট বিতরণ
light

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়নে দু’বছরে সাড়ে ১১শ’স্ট্রীট লাইট বিতরণ

চাঁদপুর সদরের ১৪ টি ইউনিয়নে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ এ দু’ বছরে সাড়ে ১১শ স্ট্রীট লাইট,এসি সোলার ও ডিসি সিস্টেম ও হোম সোলার বিতরণ করা হয়েছে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অর্থায়নে ও ইনফেস্টা ডেভেলপ কোং লিমিটেড এবং সৃজনী বাংলাদেশ নামক দু টো বেসরকারি সংস্থার সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

বুধবার ১২ আগস্ট ইডকল ও সৃজনী বাংলাদেশ এর চাঁদপুর শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরের ১৪ টি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ২০১৮ -১৯ অর্থবছরে ৬২৩ টি স্ট্রীট লাইট, হোম সোলার ও এসি সিস্টেম সোলার বিতরণ করা হয়েছে । এর মধ্যে ৪২৪ স্ট্রীটলাইট , ২০৩ হোম সোলার, এসি সিস্টেম সোলার ২টি এবং চাঁদপুর হরিজন পল্লীতে ১৪ টিডিসি সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদপুর সদরের বাকি ইউনিয়ন গুলোতে ৫৫৪ টি স্ট্রীটলাইট, হোম সোলার ও এসি সিস্টেম সোলার বিতরণ করা হয়েছে । এর মধ্যে স্ট্রীট লাইট ৩৮১টি,১৬৭ টি হোম সোলার, ৩টি এসি ও ডিসি সোলার বিতরণ করা হয়েছে ।
প্রতিটি স্ট্রীট লাইটের চুক্তি মূল্য ৫৬ হাজার ৪শ ৯০ টাকা ।

ইনভেস্টা কোম্পানি লিমিটেড ও সৃজনী বাংলাদেশের যৌথ ব্যবস্থাপনায় এগুলো ইউনিযনের রাস্তায় রাস্তায় ও বিদ্যুৎ নেই বা চাঁদপুরের চরাঞ্চলে বিনামুল্যে স্থাপন করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে ইনফেস্ো ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সাথে সরকারের একটি চুক্তি হয়্ । সৃজনী বাংলাদেশ এ সংস্থার একটি অংশীদারিত্ব পার্টনার বরে জানা যায় । ইনফেস্টা কোম্পানি লিমিটেডের চাঁদপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়ের জানান , ‘ সূর্য উদয়ের সাথে সাথেই লাইটগুলো নিভে যাবে এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে তা নিভে যাবে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে যে সব এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই সেইসব এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে লাইটগুলো বসানোর নির্দেশ রয়েছে ।পল্লী অঞ্চলে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ এখনো পৌঁছেনি সেই এলাকায় হোম সোলার সিস্টেম এর ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও চাঁদপুর হরিজন পল্লীতে প্রায় ১৪ টি ডিসি সোরার প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এসব লাইটগুলো বসানোর ফলে গ্রাম্য অঞ্চলে চুরি-ছিনতাই ও মাদক সেবন ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে কমছে এবং মানুষ সাধারণভাবে চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। গ্রামের মানুষ এখন আর বিদ্যুতের অভাব বোধ করছে না । সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে । গ্রামের শিক্ষার্থীরা রাতে পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে ।’

এ কারণে মানুষ অনেক খুশি । বিনামূল্যে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ গুলো পল্লী অঞ্চলে বিতরণ করা হচ্ছে । ‘

আবদুল গনি , ১২ আগস্ট ২০২০