ভারতের পাঞ্জাবে একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।
পাকিস্তান সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে শনিবার ভোরে হামলা হয় বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুখোমুখি সংঘর্ষে চার সন্ত্রাসী এবং দুই সেনা সদস্য মারা গেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
টেলিভিশনটির খবরে বলা হয়েছে, অন্তত ছয়জন সন্ত্রাসী এই হামলায় অংশ নেয়। তারা সেনাবাহিনীর পোশাকে এসেছিলেন। তাদের ‘নিষ্ক্রিয়’ করতে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে হেলিকপ্টার।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাহোরে ‘সারপ্রাইজ’ সফরের কয়েকদিনের মাথায় এই সন্ত্রাসী হামলা ঘটল।
হামলাকারীরা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের সদস্য এবং তারা পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর থেকে এসেছে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠানকোটের এই বিমান ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা এক জরুরি বৈঠক করে।
গোয়েন্দা সতর্কতার পরপরই পাঠানকোট বিমানবন্দরে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড মোতায়েন করা হয়; অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশকে ‘প্রস্তুত থাকতে’ নির্দেশ দেওয়া হয়।
. .
শনিবার ভোর ৪টার দিকে বিমান ঘাঁটির নিকটবর্তী একটি গ্রাম থেকে বন্দুকধারীরা প্রথম গুলি চালায় বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা গুরুদাসপুরের সাবেক পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট সালভিন্দর সিং এর একটি গাড়ি ব্যবহার করে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে পাঠানকোট-জম্মু সড়ক থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা জঙ্গিরা সালভিন্দর ও তার দুই সহযোগীসহ গাড়িটি অপহরণ করে। পরে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সালভিন্দরের মোবাইল ফোন ও গাড়িটি জঙ্গিরা রেখে দেয়।
সালভিন্দরের ফোন দিয়েই হামলাকারীরা পাকিস্তানে তাদের ‘নিয়ন্ত্রণকারী’র সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
“ওই ফোনে পাঠানকোট বিমানবন্দরের ‘যতটা সম্ভব ক্ষতি করা’র নির্দেশ দেওয়া হয়।”
ছয় মাস আগে গুরুদাসপুরে এক সন্ত্রাসী হামলায় চার পুলিশ ও তিনজন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
ওই হামলায় তিন জঙ্গি অংশ নিয়েছিল এবং পরে পুলিশের সঙ্গে ১২ ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তাদের প্রত্যেকেই নিহত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৬, শনিবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur