চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা এলাকার নদী ভাঙ্গন রক্ষায় ৮৩ লাখ টাকা তাৎক্ষনিক বরাদ্দ পেয়েছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২২ জুলাই বুধবার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল অাক্তার বিষয়টি স্থানীয়দের নিশ্চিত করেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, আগুনে পুড়লে বসতভিটা থাকে কিন্তু নদীতে ভেঙ্গে গেলে কিছুই থাকে না। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির একান্ত প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় চেয়াম্যানের কারনে ঈশাণবালার ১৫০ ফিট নদী ভাঙ্গন এলাকার জন্য ৮৩ লাখ টাকার কাজের বরাদ্ধ পেয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে। এছাড়াও স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার জিওব্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন। বস্তাগুলোর যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা অাপাদেরই দায়িত্ব। কারন জিওব্যাগ ছিদ্র হলে কোন মূল্য থাকে না।
তিনি বলেন, ভোলা জেলায় চাকুরী করতে গিয়ে অামি দেখেছি সেখানকার শিবপুর ইউনিয়নবাসী একটি বস্তাও ক্ষতি করেনি। আমি তিন বছর সেখানে ছিলাম। সরকার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে দিয়ে আপনাদের রক্ষায় কাজ করছে। আর আপনারা তার রক্ষনাবেক্ষন করবেন না তা হবে না। আপনাদের এগুলো রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
নীল কমল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন সর্দার বলেন,এ বছরের পানি বৃদ্ধির কারনে ঈশালবালা বাজারে অর্ধশতাধিক দোকান ও শতাধিক বসতভিটা নদীতে চলে গেছে। এছাড়ার স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নদীর গর্ভে কিছু বিলিন হয়েছে। কিছু বিলীনের পথে। ভাঙ্গনরোধে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৮৩ লাখ টাকার তাৎক্ষণিক কাজের বরাদ্ধ এসেছে। এই জন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর হোসেন।
নদীতে বসতভিটা হারা আমাতুননেছা বলেন, নদী অামার ঘর ভিটা সব নিয়ে গেছে। আমি এখন কোথায় থাকমু কেমনে দিন কাটবো এক আল্লায় জানে। পানিতে আমার তিনডা গরুরও মারা গেছে।
ঈশনবালা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম বেপারী বলেন, এবছর নদীর পানির তোড়ে বাজারের অনেক দোকান নদীতে চলে গেছে। প্রতিদিন জোয়াড়ে পানি বাড়লে বাজারের দোকানদাররা চিন্তায় থাকে কখন না জানি তাদের দোকানপাট নদীতে চলে যায়।
ঈশানবালা বাজার জামে মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন সর্দার বলেন, আমাদের এলাকার মসজিদও মাদ্রাসাগুলো ভাঙ্গনের মুখে। নদী যেকোন সময় বাজারের মসজিদটি নিয়ে যাবে। সরকার ভাঙ্গনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের দাড়ানোর মাটি থাকবে না।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার দোকানটি এ নিয়ে দুইবার স্থান বদল করেছি। নদী কিছু কিছু করে ভাঙ্গছে আমরা আরো ভিতরে চলে যাচ্ছি।
প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,২২ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur