করোনা মহামারিতে গত প্রায় ৩ মাস পর হঠাৎকরে হাজীগঞ্জে বেড়ে গেছে চুরি। আর এতে করে মানুষের মাঝে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে থানায় দুই একটি চুরির ঘটনায় মামলা হলে লড়েচেঢ়ে বসে প্রশাসন।
জানা যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ১নং রাজারগাঁও, ৮ নং হাটিলা, ৯নং ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের সর্বশেষ গ্রামগুলোকে চুরি ডাকাতি বেশী হওয়ার হওয়ার আশঙ্কা প্রশাসনের পূর্ব থেকে নজরে রয়েছে। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।
গত এক সপ্তাহে উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মানুষের ঘরের স্বর্নলংকার,মোবাইল,লাইটসহ দামি জিনিসপত্র চুরি করে নেয় চোরের দল।
স্থানীয়রা জানান গত এক সপ্তাহে ইউনিয়নের হরিপুর ভূইয়া বাড়ির সোহেলের ঘর থেকে দুটি মোবাইল, ১টি টচ লাইট, একই গ্রামের বেপারি বাড়ির আরিফের ঘর থেকে ১টি মোবাইল, জগন্নাথপুর পূর্ব বেপারী বাড়ির আবু সাঈদের বসতঘর থেকে ১টি মোবাইল, পূর্ব গন্ধব্যপুর বেপারী বাড়ির মোজাম্মেলের ঘর থেকে ২টি মোবাইল, ১টি ট্যাব, স্বর্ণ দেড় ভরি চুরি হয়। এছাড়া কাকৈরতলা কাজী বাড়ি, হরিপুর বেপারী, মালিগাও গ্রামের সর্দার বাড়ীসহ বেশ কিছু এলাকায় চুরি করতে এসে জনতার হাতে দাওয়া খায় চোরের দল।
ইতিমধ্যে হরিপুর ভূঁইয়া বাড়ীর সোহেল বাদী হয়ে কয়েকজন চোরের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এতে জানা যায় পাশ্ববর্তী শাহরাস্তি থানার মিন্টু, রাজু, রুবেল, দুলাল ও মানিক হোসেন। এদের সাথে জড়িত রয়েছে হাজীগঞ্জ থানার চোর চক্র। ইতিমধ্যে এ চোরদের ধরতে প্রশাসন রাতের বেলায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে চোর ধরতে হরিপুর গ্রামে প্রায় ১৫/২০ জন যুবক রাতের বেলায় তৎপরতা চালাচ্ছে।স্থানীয় বাবুল, সোহেল, রাজু বলেন, আমাদের গ্রামে গত এক সপ্তাহে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। আমরা চোর ধরতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, চুরি ডাকাতি রোধে প্রতি রাতে ৫ ভাগে পুলিশের টহল টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চুরি থেকে শুরু করে কোন রংবাজকে ছাড় দিয়ে আসিনি আর তারা করে রক্ষাও পাবেনা।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,১৩ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur