স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :
বাজারের তেল ও ঘিয়ের শতকরা ৫০ভাগই ভেজাল রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেইফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এনএফএসএল চালুর পর থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের তেল ও ঘি’র ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবরেটরির ফলাফল অনুযায়ী ৩৪টি নমুনায় স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশী ওলিইক এসিডিটি পাওয়া যায়। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত ও খোলা আকারে সরিষা, সয়াবিন, বাদাম, নারকেল, তিল, অলিভ, রাইস, সানফ্লাওয়ার ও পামওয়েল তেল ও ঘি বিক্রি হচ্ছে। এসব কোম্পানির উৎপাদিত কোন তেলেই একক উপাদান নেই। অনেক তেলের সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উচ্চ চর্বিযুক্ত ওলিইক এসিড মেশানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনস্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউটের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এক শ্রেনির অসৎ ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সরিষার তেলের সঙ্গে সয়াবিন, সয়াবিনের সঙ্গে পামওয়েল ও ঘি’য়ের সঙ্গে ডালডা মিশিয়ে বিক্রি করছে।
মানসম্মত তেল ও ঘি উৎপাদনে ফুড গ্রেড মেশানো অত্যাবশ্যক হলেও তা মেশানো হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তেল নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে তেলের স্বাভাবিক গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনএফএসএলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, তারা ল্যাবরেটরিতে ১৯টি ব্রান্ড ও পাঁচটি খোলা সরিষা তেলের নমুনা পরীক্ষায় ১৮টিতে স্বাভাবিক মাত্রার (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ১.২৫%) চেয়ে বেশি ওয়েলিক এসিড পেয়েছেন।
১৩ ব্রান্ডের ও ২টি খোলা সয়াবিন তেলের পরীক্ষায় পাঁচটিতে বেশী এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২%) পাওয়া যায়। দুটি ব্রান্ডের বাদাম তেলের একটিতে বেশী এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ৩%) পাওয়া যায়। ৭টি ব্রান্ড ও ৪টি খোলা ঘি’য়ের ২টিতে বেশী এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২%) পাওয়া যায়।
১৭টি ব্র্যান্ড ও ১টি খোলা নারকেল তেলের ৪টিতে বেশী এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২%) পাওয়া যায়। তবে খোলা নারকেল তেলে স্বাভাবিক মাত্রায় ওয়েলিক এসিডিটি পাওয়া যায়।
৩টি খোলা তিলের তেলের ১টিতে বেশী এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২%) পাওয়া যায়। একটি ব্র্যান্ডের অলিভ ওয়েল ও রাইস ব্র্যান্ডে কম মাত্রায় (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২%) এসিডিটি পাওয়া যায়।
১টি ব্র্যান্ডের সানফ্লাওয়ারে বেশী মাত্রায় এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ৩%) পাওয়া যায়। এছাড়া ১টি ব্র্যান্ড ও ১টি খোলা পামওয়েলে কম মাত্রায় এসিডিটি (স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ০.২৮%) পাওয়া যায়।
আপডেট : বাংলাদেশ সময় : ১২ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার ২৬ জুন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪০ অপরাহ্ন
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur