সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৬০ বছরের বৃদ্ধা লোকমান গাজী ৯দিন হাসপাতালে থেকে হেরে যান মৃত্যুর কাছে। এবারে একই আসামীদের হামলায় গুরুতর আহত হলো তার পুত্র এবং কন্যা। শরীরে আঘাতের ক্ষত আর হত্যার ভয় নিয়ে ভাই-বোনের ঠাঁই হলো সেই হাসপাতালে বেডে।
আরও পড়ুন… রাজরাজেশ্বরে হামলার ঘটনায় ৯ দিন পর ঢাকায় বৃদ্ধের মৃত্যু
২৬ জুন শুক্রবার বিকালে এমনই হৃদয়বিদায়ক ঘটনা ঘটে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লক্ষির চরে। বর্তমানে মৃত লোকমান গাজীর পুত্র মনির (১৭) এবং কন্যা আফসানা আক্তার মিম (১৩) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
মৃত লোকমান গাজীর স্ত্রী জানান, সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ন্যায় বিচার চেয়ে আমরা থানায় হত্যা মামলা করেছি। এরপর থেকেকেই আসামীপক্ষ প্রতিনিয়ত নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার ছেলেকে হত্যার ভয় দেখাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে আমার ছেলে মনির নদীর ঘাটে যাবার সময় ১নং ওর্য়াডের মেম্বার আলী আহম্মেদ বকাউলের নেতৃত্বে কুদ্দুস আলী বকাউল, আনোয়ার হোসেন বকাউল, আক্কাস আলী বকাউল, আনোয়ার হোসেন বকাউল, অলি, আবুল খায়ের, আলম, জাহাঙ্গীর মাল, হানিফ , বালা, সেন্টু বকাউল, রবিউল, মুন্নি আক্তার, নুরজাহান বেগম ও হালেমা বেগমসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মিলে আমার ছেলের উপর হামলা চালায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে আমার ছোট মেয়ে আফসানা খাতুন মিম এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে এলাবাবাসি তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
লোকমান গাজীর বিধবা স্ত্রী আরো জানান, ১মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আমার স্বামীর হহত্যাকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি। অথচ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমারা প্রশাসনের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার এবং পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করছি।
প্রসঙ্গত,গত ২৮ মে লগ্নির চরে স্থানীয় একটি পক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় লোকমান গাজী। প্রথমে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকার সোহরায়ার্দি হাসপাতালে নেয়া হলে ৯ দিন মৃত্যুে সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করেন। চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৮, তাং ০৩/০৬/২০২০।
স্টাফ করেসপন্ডেট,২৭ জুন ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur