স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :
সরকারি ২০টি হাসপাতালের জন্য ডিজিটাল এক্সরে মেশিন কেনা হচ্ছে। ইতিমত্যেই সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর ডিপোর্ট (সিএমএসডি) এর মাধ্যমে এক্সরে মেশিন (৫০০ এমএ) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়কদের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ও লাইন ডিরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদি এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক হাসপাতাল ছাড়া প্রায় সব সরকারি হাসপাতালে এনালগ এক্সরে মেশিনে রোগীর এক্সরে করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় এক্সরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেরি হওয়ায় অনেক সময় চিকিৎসকরা রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রোগীরা যেন কম খরচে দ্রুততম সময়ে ডিজিটাল মেশিনে এক্সরে পরীক্ষা করতে পারেন সে লক্ষ্যেই ২০ হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার আগে ওই মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি, ডিজিটাল রেডিওগ্রাফির জন্য প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে কি-না তা জানতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদি কোনো হাসপাতালে এই সুবিধাদি না থাকে তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর আর্থিক সহায়তা দিয়ে ওই তিনটি সুবিধা নিশ্চিত করে মেশিন প্রদান করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা, বরিশাল, বগুড়া ও খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালগুলোর মধ্যে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, যশোর, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, বান্দরবান, লালমনিরহাট ও মেহেরপুর রয়েছে। এছাড়া শ্যামলীর টিবি (যক্ষা) হাসপাতালেও ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে কিছু সংখ্যক হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপিত হয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যার তুলনায় ডিজিটাল মেশিন আরো বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছে হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক কয়েকজন পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) বলেন, ইতিপূর্বে চাহিদা যাচাই না করে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডিজিটালসহ বিভিন্ন ধরনের এক্সরে মেশিন কেনা হতো। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষ জনবল ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা না থাকায় এক্সরে মেশিন বছরের পর বছর পরে থেকে নষ্ট হতো। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানতেও পারতেন না এক্সরে মেশিন কেন এসেছে।
তারা বলেন, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়ার আগে সত্যি সত্যিই যদি অবকাঠামো, দক্ষ জনবল ও বিদ্যুতের সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় তবে সাধারণ রোগীরা উপকৃত হবেন। এনালগ মেশিনে এক্সরে করার পর রিপোর্টের জন্য কালক্ষেপণ হবে না। মুহূর্তের মধ্যেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন চিকিৎসকরা।
আপডেট: বাংলাদেশ সময় : ১১ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, বুধবার ২৪ জুন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur