চাঁদপুর জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আরো দুজন মারা গেছেন। এদিকে করোনা রোগীর সংখ্যা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
১৯ জুন শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে চাঁদপুর শহরে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান দেলোয়ার হোসেন (৭০)। জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আক্রান্ত এই রোগীকে এখানে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
এ ছাড়া শুক্রবার সকালে শহরের প্রাইভেট একটি হাসপাতালে একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ সফিকুল ইসলাম (৬৫) নামে আরেকজনকে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর তিনিও মারা যান। তার বাসা চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনিতে। চাঁদপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহান জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃতের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন…
রেড জোনে যাচ্ছে চাঁদপুর জেলার ছয় পৌরসভা ও এক ইউনিয়ন
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, মৃত এই দুজনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে চাঁদপুর শহরে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এজন্য পুলিশ, আনসার ব্যাটেলিয়ন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা জনগণকে সচেতন করতে কাজ করছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, করোনা রোগীর সংখ্যা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষের অনুমোদন পাওয়া মাত্র সেখানে রেড জোন ঘোষণা করা হবে।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট,১৯ জুন ২০২০