চাঁদপুর সদর উপজেলায় আরো ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে শহরের ব্ষ্ণিুদী মাদ্রাসা রোডের ১ নারী (২৪), বালিয়ার ঢালিরঘাট এলাকার ১ পুরুষ (৫৫), ও কল্যাণপুরের দাসাদী গ্রামের ১ পুরুষ (৫০) রয়েছেন।
এ নিয়ে সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮২ জন। আর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১১জন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এ দিন সদর উপজেলার ৭টি নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৩টি পজেটিভ।
এছাড়া ১৬ জুন মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাস্টার বাজার সংলগ্ন ধলাইতলী এলাকায় উপসর্গে মারা যাওয়া মনু মিয়ার (৬০) করোনা পজেটিভ রিপোর্টের বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৩ জুন তিনি নমুনা গিয়েছিলেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কাওসার হিমেল জানান, মৃত্যুর পর তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও এতদিন নমুনা ফরমে দেওয়া ফোন নম্বরে কাউকে না পাওয়ায় মৃতের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার জানা যায় মৃত মনু মিয়ার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ।
এর ফলে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও চাঁদপুর জেলায় মৃতের সংখ্যা আরেকজন বেড়ে হয়েছে ৪৪ জন। জেলায় মোট ৪৪জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : হাজীগঞ্জে ১৩ জন, চাঁদপুর সদরে ১২জন, ফরিদগঞ্জে ৬জন, কচুয়ায় ৪ জন, মতলব উত্তরে ৪ জন, শাহরাস্তিতে ৩ জন ও মতলব দক্ষিণে ২জন।
অন্যদিকে চাঁদপুর সদরের একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ফরিদগঞ্জের ঠিকানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে সদরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এতে ফরিদগঞ্জে রোগীর সংখ্যা ১ জন কমেছে।
চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৫১১জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৮২জন, শাহরাস্তিতে ৬৩জন, হাজীগঞ্জে ৬২ জন, ফরিদগঞ্জে ৬০ জন, মতলব দক্ষিণে ৫৬জন, হাইমচরে ৩৩ জন, কচুয়ায় ২৮জন ও মতলব উত্তরে ২৭জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ আরো জানান, বৃহস্পতিবার চাঁদপুর থেকে আরো ৬৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫০৫টি। রিপোর্ট এসেছে ২৬৯৮টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৮০৭টি।
তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ৫১১নের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪৬জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩২১জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২৪৭জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০৩জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ৪৪জন। এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৫৩০১জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮৫৫জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৪৪৬জন।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১৮ জুন ২০২০