চাঁদপুরের ৮ উপজেলার মধ্যে এরইমধ্যে করোনা হটস্পটে পরিনত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই থাকছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর। আর এতে করে এ উপজেলার সচেতনমহল থেকে শুরু করে সর্বার্থে চরম আতংর্কের মধ্যে রয়েছে।
৫ই জুন শুক্রবার সকাল থেকে একের পর এক মৃত্যুর মিছিলে যেন পরিনত হতে চলছে এ উপজেলা। নতুন করে আরো ৫ জনসহ এ পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
৫ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় মকিমাবাদ নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন, হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল আউয়াল (৪৫)। তিনি জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি নিয়ে ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিজে গিয়ে সেম্পল দিয়েছেন, যার রিপোর্ট অপেক্ষমান।
বাকিলা ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মোবাশ্বের হোসেনের মেয়ে মিথিলা আক্তার (২০) করোনা পজেটিভ নিয়ে ঢাকার কর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে উপজেলার ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউরিয়নের এন্নাতলি গ্রামের মো. দুল্লাল হোসেন (৫৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এছাড়াও হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও বাকিলা ইউনিয়নে আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান, উপজেলা দাফন কাজে নিয়োজিত মো. শরিফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা এইচ এম সোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমরা মৃতদের মধ্যে এক জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি, বাকিদের হয়তো নমুনা টেষ্টের জন্য আগে থেকে দেওয়া আছে, যে কারনে জানায়নি।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে একের পর এক সবাইকে মাটি দেওয়ার কাজে নেমে পড়েন, ইসলামী শাসন আন্দোলনের নেতৃত্বে উপজেলার একমাত্র স্বেচ্ছাকৃত দাফন টিম।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ৫ জুন ২০২০